ছবি: প্রতীকী
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বোলপুর আদিবাসী তরুণীর ধর্ষণের ((Bolpur Rape Case) ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। তার পরই পুলিশি তৎপরতায় গ্রেপ্তার হল অভিযুক্ত বাবা-সহ মোট চারজন। মঙ্গলবার তাদের বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হল।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী রিপোর্ট তলব করতেই রাতে বোলপুর থানায় ছুটে আসেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। বোলপুর থানার আইসি-সহ একাধিক পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। এর পর অভিযুক্তদের খোঁজে রাতভর চলে ধরপাকড়। প্রথমে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বাবা-সহ বাকি তিনজনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বোলপুর থানার সিয়ান-মুলুক এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নিয়েছিল এক ব্যক্তি। সেই ঋণের টাকা শোধ করতে পারছিলেন না তিনি। অভিযোগ, টাকার পরিবর্তে মেয়েকে ওই নেতার হাতে তুলে দেয় বাবা। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ৩১ মার্চ থেকে নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে দীপ্তিমান ঘোষ-সহ আরও দুজন। অভিযুক্ত দীপ্তিমান নাবালিকাকে হুমকি দেয়, কাউকে একথা জানালে তাঁকে এবং তার পরিবারকে মেরে ফেলা হবে। পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবাও মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।
এই ঘটনায় নির্যাতিতার এক দিদি বোলপুর থানায় নাবালিকার বাবা-মা সহ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুজিত কুমার দে ও বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায় এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ নির্যাতিতাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করে। এদিন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে আদিবাসী নাবালিকা সঙ্গে দেখা করেন জেলাশাসক বিধান রায়ও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.