Advertisement
Advertisement

Breaking News

BSF

পাচারকারীকে ধরতে গিয়ে মার খেল BSF জওয়ানরা, বাগদার চৌকিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব-ভাঙচুর

উদ্ধার প্রচুর গাঁজা।

4 BSF jawan beaten by miscreants as they detain smuggler at Bagda | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 7, 2023 6:40 pm
  • Updated:January 7, 2023 6:41 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পাচারকারীকে ছাড়াতে বিএসএফের উপর হামলা দুষ্কৃতীদের। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে গাঁজা ও ফেনসিডিল উদ্ধার করতে বাগদা থানার অন্তর্গত নওদাপাড়া গ্রামে হানা দেয় বিএসএফ জওয়ানরা। পাচারকারীর বাড়ি থেকে বিপুল মাদক উদ্ধার করে তারা। পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে গ্রাম থেকে বেরনোর আগে জওয়ানদের উপর চড়াও হয় জনা কয়েক দুষ্কৃতী। ধৃত পাচারকারীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে ৪ বিএসএফ জওয়ান জখম হন। তাঁরা আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে বিএসএফ চৌকি ঘিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলাকারী এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বাগদা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।

বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ৬৮তম বাহিনীর সীমা চৌকি মামাভাগিনার জওয়ানরা নওদাপাড়া গ্রামে হানা দেয়। বিএসএফ নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে খবর পেয়েছিল যে গ্রামের আলমগীর মণ্ডল, সুখদেব মণ্ডল, সুকুমার ও পবিত্রার বাড়িতে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেনসিডিল রয়েছে। তা বাংলাদেশে পাচারের ছক রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র বাগদা থানাকে জানিয়ে গ্রামে অভিযান চালায় বিএসএফ। গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে আলমগীর মণ্ডলের বাড়ি থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা ও ৩৭১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে তারা। আটক করা হয় আলমগীরকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে সমস্ত স্কুলে CCTV, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নিয়ম চালু পর্ষদের]

 

আলমগীরকে আটক করে আনার সময় গ্রামের অন্য চোরাকারবারীরা আচমকা লাঠি ও পাথর নিয়ে জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। এক মহিলা কনস্টেবল এবং তিনজন জওয়ান গুরুতর জখম হন। তবে হামলা প্রতিরোধ করে আলমগীরকে মামাভাগিনা চৌকিতে নিয়ে যান জওয়ানরা। এরপর চৌকিতে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ধৃত আলমগীরের সহযোগী সহদেব রাই, কালকমান দফাদার, টোটাল মণ্ডল, লাল্টু মণ্ডল, রাজাক মণ্ডল, হুসেন মণ্ডল, জাহিদুল দফাদার, জাহান আলি মণ্ডল এবং মিজানুর মণ্ডল প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। তারপর সীমান্তে নজরদারি করার জন্য লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা, রেকর্ডার, কম্পিউটার এবং কন্ট্রোল রুম ভাংচুর করে তারা। তাণ্ডব চালায় তারা। বিএসএফের অতিরিক্ত দল এবং বাগদাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে এবং আহত জওয়ানদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বাগদা হাসপাতালে পাঠায়। আহত জওয়ানের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। এদিকে দুষ্কৃতীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও আলমগীরের মুক্তির দাবিতে চৌকি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। বিএসএফ জওয়ানরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

জানা গিয়েছে, ধৃত চোরাকারবারী এনসিবির মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। গত ছয় বছর ধরে পাচারের সঙ্গে যুক্ত সে। চোরাকারবারী এনসিবি তালিকায় কুখ্যাত কিন্তু কখনও তাকে হাতেনাতে ধরা যায়নি। ধৃত পাচারকারী এবং জব্দ করা মাদক এনসিবিকে হস্তান্তর করা হবে। বিএসএফ ডিআইজি জানিয়েছে, এর পাশাপাশি কুখ্যাত চোরাকারবারীকে যারা সাহায্য করেছিল তাদেরও শীঘ্রই ধরা হবে।

[আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে সমস্ত স্কুলে CCTV, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নিয়ম চালু পর্ষদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement