নিজস্ব চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তুমুল উত্তেজনার ঘটনায় চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করল সন্দেশখালি থানার পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে এলাকায় তদন্তে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। আপাতত মিনাখা থানায় রাখা হয়েছে তাদের। সোমবারই পেশ করা হবে বসিরহাট আদালতে।
রবিবারের মারধরের ঘটনায় বিজেপি নেতা উৎপল মাইতি ও সুপ্রকাশ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের জালে গীতা বর নামে এক মহিলা বিজেপি কর্মী। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সকলকে আপাতত মিনাখা থানায় রাখা হয়েছে। বসিরহাট আদালতে পেশের আগে নিয়মানুযায়ী স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে সকলের।
উল্লেখ্য, রবিবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এবং বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করা হয়। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটিও হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তারই মাঝে তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এবং তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক গ্রামেরই একটি বাড়িতে রয়েছেন বলেই খবর পান স্থানীয় মহিলারা। ওই বাড়ির সামনে পৌঁছন রণংদেহী মহিলারা। বাড়ি থেকে টেনে বের করা হয় এক তৃণমূল নেতাকে।
বাঁশ, লাঠি হাতে মহিলারা তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হন। রাস্তায় ফেলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে মারধর। পোশাক ছিঁড়ে যায় তাঁর। স্থানীয় মহিলাদের অভিযোগ, বিধায়কের যোগসাজশে ওই তৃণমূল নেতারা ফেক ভিডিও তৈরি করছেন। পরে তা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে বিক্ষোভ। অবিলম্বে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মহিলারা। বিজেপির ইন্ধনে অশান্তি বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর। এই ঘটনারই তদন্তে গভীর রাতে গ্রামে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। শুরু হয় ধরপাকড়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.