শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কালিয়াগঞ্জে (Kaliagunj) মৃত নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার জের। সাসপেন্ড করা হল চার এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিককে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলবে বলেই জানালেন পুলিশ সুপার সানা আখতার।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) মহিলা মোর্চার সদস্যরা। সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশকর্মী নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনার পর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অগ্নিগর্ভ এলাকা। সোমবারও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন মৃতার পরিজন ও এবিভিপি সমর্থকরা।
এদিন বিকেলেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন পুলিশ সুপার সানা আখতার। তিনি জানান, দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৪ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। পুলিশের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওনাদের চারজনকে সাসপেন্ড করে কোনও লাভ নেই। কারণ ওনারা উপর মহলের নির্দেশ পালন করেছেন। তাই কাউকে সাসপেন্ড করার হলে এসপিকে করা প্রয়োজন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.