সুরজিত দেব, ডায়মন্ড হারবার: মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়তে হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকশো মৎস্যজীবীকে। তার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন বহু। ভাগ্যের জোরে ফিরেও এসেছেন কয়েকজন। এবার দেশে ফিরলেন নিখোঁজ ৩২টি ট্রলারের ৫১৬ জন মৎস্যজীবী।
[আরও পড়ুন: পুলিশের সামনেই বোমাবাজিতে উত্তপ্ত সিউড়ি, জখম বেশ কয়েকজন]
৭ জুলাই আবহাওয়া দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বিভিন্ন গ্রামের মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন৷ উদ্দেশ্য ছিল ইলিশ মাছ ধরে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা৷ বঙ্গোপসাগরের কেন্দুয়া দ্বীপের বেশ কয়েক কিলোমিটার পূর্বে ভারত-বাংলাদেশ জলসীমার কাছে আচমকাই সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন মৎস্যজীবীরা৷ উলটে যায় ৪টি ট্রলার। নিখোঁজ হয়ে যায় বহু। ওই প্রবল বিপর্যয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ে এদেশের ৩২টি ট্রলার। এরপর বাংলাদেশের পটুয়াখালিতে বাংলাদেশ উপকূল রক্ষীবাহিনীর তত্বাবধানেই ছিলেন ওই ট্রলারগুলির ৪৯২ জন মৎস্যজীবী ও ২৪ জন মাঝি।
এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই বাংলাদেশের তরফে যোগাযাগ করা হয় ভারতের উপকূল রক্ষীবাহিনীর সঙ্গে। মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সীমান্তরেখায় (আইএমবিএল) এদেশের উপকূল রক্ষীবাহিনীর হাতে মৎস্যজীবী ও ট্রলারগুলি তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের তরফে। পরে বুধবার সকালে তাঁদের কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দরে নিয়ে যান এদেশের উপকূল রক্ষীবাহিনীর আধিকারিকরা। সেখানেই পুলিশ, প্রশাসনের সামনে তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ, প্রশাসন ও কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দরের আধিকারিকরা। সেখানে কড়া ভাষায় জানানো হয়, মৎস্যজীবীরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে নেমেছিলেন। পুনরায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এহেন ঘটনা ঘটালে মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হবে। যদিও এবারে মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে দীর্ঘদিন পর পরিজনদের ফিরে পেয়ে খুশি নিখোঁজদের পরিবার।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.