ফাইল ছবি
অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: খড়গপুরের পর এবারে নারায়ণগড়ে বিজেপির (BJP) অভ্যন্তরে বিদ্রোহের আগুন। দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়ে নারায়ণগড় ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি-সহ ১৭ জন পদাধিকারী ও নেতারা পদত্যাগ করলেন। সবমিলিয়ে সংখ্যাটি ৩১। তার সঙ্গে এই পদত্যাগপত্র দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে শনিবার দল বেঁধে বিদ্রোহীরা পাঠালেন। পদত্যাগপত্রে এই ৩১ জন সই করেছেন।
যদিও এই বিদ্রোহকে খুব বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, বিদ্রোহীরা সকলেই বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত। নারায়ণগড় ব্লকের দক্ষিণ মণ্ডলের পদত্যাগী সভাপতি তপন কুইলার কথায়, “২০২১ সালে মণ্ডল সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পাই। তখন এখানে বিজেপির ঝান্ডা ধরার কেউ ছিল না। গত পঞ্চায়েতে গোটা জেলায় এত ভালো ফলাফল করার পরেও বর্তমান জেলা সভাপতি ওই সময় তৃণমূলের সঙ্গে সংযোগ রাখা কয়েকজনকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেন। তাঁদের বিভিন্ন নেতৃত্বে নিয়ে আসছেন। অথচ গোটা মণ্ডল কমিটিকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে জেলা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি রাজি হননি। তাই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছি। তবে, দল আমরা ছাড়ছি না।”
দলের জেলা সভাপতির এই ভূমিকায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে হারানোর চক্রান্ত হিসাবে দেখছেন বলেও তিনি জানালেন। যদিও বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “নারায়ণগড় ব্লকের ওই মণ্ডল সভাপতিকে তিনদিন আগেই পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে দলবিরোধী কাজের জন্য। ফলে উনি কী বললেন বা করলেন তার কোনও গুরুত্ব নেই। আর ওই মণ্ডলে ইতিমধ্যে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।”
এদিকে বিজেপির গোষ্ঠী বিবাদ নিয়ে নারায়ণগড় ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মিহির চন্দ বলেন, “প্রকৃত অর্থে নারায়ণগড়ে কোথাও বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। আর যেটুকু যা রয়েছে সেটাও নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি করে শেষ হয়ে যাচ্ছে। গোটা রাজ্যের মতোই এখানেও বিজেপির শেষ যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.