বর্ধমানে উদ্ধার হওয়া গাঁজা, ছবি: মুকুলেসুর রহমান।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: জাতীয় সড়কে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৩০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করল পুলিশ। গোপনসূত্রে খবর পেয়েই মেমারি ও জামালপুর থানার এসডিপিও, ওসি, বিডিও এবং যুগ্ম বিডিওর নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। শনিবার প্রায় সারা রাত অভিযানের পর ভোরবেলা গাড়ি-সমেত গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। গাড়িতে থাকা পাচারকারী পালিয়ে গেলেও চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রাজকুমার রায় (৫০)। তার বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলায়। শনিবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের মেমারি থানার অন্তর্গত পালসিট টোল প্লাজায়।
গাঁজা উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই ৪০৭ গাড়িটি ধূলাগড় থেকে প্লাস্টিক রং নিয়ে বিহারের সমস্তিপুরে যাচ্ছিল। ওই গাড়িতে গাঁজা রয়েছে। গোপনসূত্রে এই খবর পেয়েই অভিযানে নামেন জামালপুর ও মেমারি থানার পুলিশ কর্তারা। ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ধূলাগড় থেকে রং নেওয়ার পর ডানকুনি থেকে ২০ লক্ষ টাকার গাঁজা ওই গাড়িতে তোলা হয়। তবে সমস্তিপুরের আগেই গয়ার কাছে কোথাও সেই গাঁজা ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল। শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ গাঁজা নিয়ে ট্রাকটি পালসিট টোলপ্লাজায় পৌঁছায়। সেখানেই অপেক্ষায় ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই তল্লাশি শুরু হয়ে যায়। গাঁজা পাচারের খবরে ততক্ষণে বেশ কয়েকটি গাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে। ধরা পড়ার ভয়ে বেগতিক বুঝেই ট্রাক থেকে নেমে চম্পট দেয় এক পাচারকারী। শেষপর্যন্ত চালক রাজকুমার রায়কেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে।
এই গাঁজা পাচারের নেপথ্যে কোনও বড় চক্র সক্রিয় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে এদিন বর্ধমান আদালতে তোলা হলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আন্তঃরাজ্য গাঁচা পাচারচক্রের পাণ্ডার হদিশ করবে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.