প্রতীকী ছবি
অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে ৩ জনের রহস্যমৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ট্যাঙ্কে মজুত করে রাখা চোলাই মদ থেকে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। সেই গ্যাসের কারণেই মৃত্যু। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার (Debra) চকরাধাবল্লভপুরে রয়েছে সেপটিক ট্যাঙ্কটি। তার ভিতর চোলাই মদ তৈরির সমগ্রী মজুত রাখা হত বলে খবর। এদিন সকালে সেই মজুত করা মহুল তুলতে প্রথমে ট্যাঙ্কে নামে সুজন সোরেন নামে এক নাবালক। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও সে ওঠেনি। এতেই সন্দেহ হয়। এর পর নামেন মালিক বদ্যিনাথ হেমব্রম। তিনিও ওঠেননি। এর পর নামেন বাপী বাস্কে। পর পর তিনজন নামার পর কেউ উঠে না আসায় গ্ৰামবাসীদের সন্দেহ তীব্র হয়। ভিতরে কিছু একটা ঘটেছে অনুমান করে গ্ৰামবাসীরা ট্যাঙ্কের ঢাকনা ভেঙে ফেলেন। এর পরই তিনজনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ডেবরা সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত ডেবরা থানার পুলিশ মুখ খোলেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নামেই ওটি সেপটিক ট্যাঙ্ক। সেখানে আদতে চোলাই মদের কাঁচামাল, মহুল রাখা হত ও তৈরি করা হত। দীর্ঘদিন ধরে সেপটিক ট্যাঙ্কের ১০ ফুট গভীরে চোলাই বানানোর ফলে বিষাক্ত মিথাইল গ্যাস তৈরি হয়েছিল। সেই গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.