সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: পর্যটক সেজে সোনা পাচারের চেষ্টা। শিলিগুড়িতে তিন পাচারকারী গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর বা ডিআরআই। উদ্ধার ১ কেজি ওজনের ৩২টি সোনার বাট। তদন্তকারীদের দাবি, উদ্ধার হওয়ার সোনার মূল্য দশ কোটি টাকা।
[ঝড়ে ভেঙেছে কমিউনিটি হল, দিদিমণির বাড়িতেই চলছে সর্বশিক্ষা মিশনের স্কুল]
ধৃতেরা সকলেই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই বছর ধরে শিলিগুড়ি শহরের দেশবন্ধু পাড়ায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকত ওই তিনজন। কালীবাড়ি রোডে একটি সোনা গলানোর কারখানাও আছে তাদের। তদন্তকারীদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের পর্যটক পরিচয় দিযে শিলিগুড়ি থেকে একটি গাড়ি ভাড়া নেয় ওই তিন সোনা পাচারকারী। গাড়িতে চেপে তারা চলে যায় সিকিমের গ্যাংটকে। রাতে সোনার নিয়ে ফিরছিল তারা। গোপনসূত্রে খবর পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরে। শিলিগুড়ির সেবক রোডে একটি সিনেমাহলের সামনে গাড়িটি আটকান গোয়েন্দারা। তল্লাশিতে উদ্ধার ১ কেজি ওজনের ৩২টি সোনার বাট। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকেই। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সোনা ২৪ ক্যারেটের। দাম প্রায় দশ কোটি টাকা।
[নকল সোনা জমা দিয়েই ব্যাংক থেকে ঋণ, বড়সড় প্রতারণা চক্রের হদিশ বীরভূমে]
শুধু বন্যপশুর বিভিন্ন অঙ্গের চোরাকারবারই নয়, শিলিগুড়িকে করিডরকে করে চলে সোনা পাচারও। মাস তিনেক আগে খোদ ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগর তদন্তকেন্দ্রের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে নকল সোনার বিস্কুট বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকায় ২০০টি সোনার বিস্কুট বিক্রি করেছিলেন এসআই সঞ্জয় প্রধান। কিন্তু, পরে তিনি বুঝতে পারেন, মাত্র তিন বিস্কুটই আসল সোনার। বাকি সবই নকল। ঘটনাটি শিলিগুড়ি কমিশনারেটে গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আনেন ভিনরাজ্যের ওই ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত এসআইয়ের বিধাননগরের বাড়িতে চলে তল্লাশি। এসআই সঞ্য় প্রধানকে ক্লোজ করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, ওই সোনার বিস্কুটগুলির এক একটি ওজন ১০ গ্রাম। ফাঁসিদেওয়ার বিধাননগরের একটি হোটেল সোনার বিস্কুট বিক্রির ‘ডিল’ চূড়ান্ত হয়েছিল।
[নদীর হারিয়ে যাওয়া গতিপথের হদিশ দেবে গুগল ম্যাপ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.