সুব্রত বিশ্বাস: শালিমার জিআরপি থানার দেওয়াল কেটে চম্পট দিল ৩ জন আসামী। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে শুরু হয় তল্লাশি। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে জিআরপি থানার আধিকারিকদের ভূমিকা।
ঘটনার সূত্রপাত ১৭ আগস্ট। ওইদিন আবাদা স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। সেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। মৃতের পরিবার তিন যুবকের নামে অভিযোগ করে। তারা সকলেই মৃতের বন্ধুসম বলে খবর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে রেলপুলিশ। শালিমার জিআরপি থানায় রাখা হয়েছিল তাদের। রবিবার সকালে দেখা যায়, ওই তিনজন নেই লকআপে। কাটা লকআপের দেওয়াল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় থানায়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। যদিও এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে শালিমার জিআরপি। কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ওই তিন ধৃত উধাও হয়ে গেল, সেটাই প্রশ্ন। যদি অভিযুক্তরা দেওয়াল কেটে বেরিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে কেউ কেন টের পেলেন না? এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে রাতে কর্তব্যরত আধিকারিকরা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে শিয়ালদহের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেলপুলিশ সুপার বলেন, “খবর পেয়েছি। চরম গাফিলতি এটা। জিআরপি থানা থেকে কীভাবে বন্দিরা পালালেন? দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা কোথায় ছিলেন?” তিনি জানান, ফেরারদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই উধাও হওয়ার ঘটনায় তদন্ত হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.