বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রবল গতিতে বাইক চালানো হয়। পুলিশ তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
অভিষেক চৌধুরী, কালনা: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনজন। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ ব্লকে বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। জানা গিয়েছে, রাতে বাইকে রেস চলে ওই এলাকায়। সেই গতির বলিই হলেন তাঁরা। তাঁদের কারও হেলমেট পরা ছিল না। কেন পুলিশ রাতে তাদের আটকায়নি? স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের তুলসিডাঙার কাছে কালনা-কাটোয়া এস টি কে কে রোডে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিন বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম বিভাস কর্মকার(২৪), কুশল দাস(১৯) ও সমীর মণ্ডল(১৯)। প্রথম দুজনের বাড়ি নবদ্বীপের প্রফুল্লনগর কলোনি এলাকায়। সমীরের বাড়ি নাদনঘাট থানার নিচু চাঁপাহাটিতে। বিক্রম বিশ্বাস নামে আরও এক বাইক আরোহী গুরুতর জখম অবস্থায় কালনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীর মণ্ডল বিক্রম বিশ্বাসকে নিয়ে প্রবল গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন। অন্যদিকে, নবদ্বীপের বাসিন্দা বিভাস কর্মকার ও কুশল দাসও প্রবল গতিতে বাইক চালিয়ে উল্টো দিক থেকে যাচ্ছিলেন। দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্য হয়। বাইক দুটির গতি এতটাই বেশি ছিল, যে চার জনেই ছিটকে যান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রবল গতিতে বাইক চালানো হয়। পুলিশ তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
বাসিন্দারা এই বিষয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বাইক আরোহীরা কেউ হেলমেট ব্যবহার করেননি। পুলিশ তাদের আগে আটকালে এই এত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হত না। এর আগে পুজোর সময়ও একইভাবে বেপরোয়া বাইক দুর্ঘটনায় তিন পড়ুয়া সহ চারজন মারা গিয়েছিলেন। এবার এই ঘটনা। প্রবল গতিতে বাইক চালানোর জন্য সাধারণ মানুষজন রাতে পথে বেরোতেও ভয় পান। পুলিশ সেই অর্থে নাকাচেকিং করে না। ফের সেই অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা।
যদিও পুলিশ এই অভিযোগ মানতে চায়নি। কালনা এসডিপিও রাকেশ কুমার চৌধুরি বলেন, “গাড়ি ও বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণের কাজ পুলিশ ধারাবাহিকভাবে করে চলেছে। আগামী দিনেও সমানভাবেই চালানো হবে। নিজেদের জীবনের মূল্যটা নিজেকেও বুঝতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.