দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: স্কুল পৌছে দেওয়ার পথে একটি লরিতে ধাক্কা মারল পুলকার। এর জেরে গুরুতর জখম হল পাঁচ শিশু। তাদের মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় গ্রিন করিডোরের সাহায্যে তাদের কলকাতার SSKM হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার পোলবা থানার কামদেবপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে শ্রীরামপুর থেকে চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে অবস্থিত একটি বেসরকারি স্কুলে আসছিল ওই পুলকারটি। গাড়িটির ভিতরে ড্রাইভার ছাড়াও ১৪ জন শিশু ছিল। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পোলবার কামদেবপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ সামনে থাকা একটি লরিতে ধাক্কা মারে পুলকারটি। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি নয়ানজুলিতে উলটে পড়ে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে শিশুদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাতেও। পরে সবার চেষ্টায় ওই পুলকারের চালক ও শিশুদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি শুনে হাসপাতালে ছুটে এসে জখম শিশুদের চিকিৎসার বিষয়ে তদারকি করেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। জখম শিশুদের কয়েকজনের সঙ্গে কথাও বলেন। চারজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিনজন শিশুকে গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে কলকাতার SSKM হাসপাতালে নিয়ে এসে ভরতি করা হয়েছে। ওই তিন শিশুর নাম ঋষভ সিং, অমরজিৎ সাহা ও দিব্যাংশ ভগত।
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ওই পুলকারের চালক জানান, শিশুদের নিয়ে তিনি শ্রীরামপুর থেকে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে অবস্থিত বেসরকারি স্কুলটিতে আসছিলেন। পোলবার কামদেবপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় সামনে থাকা একটি লরি আচমকা সম্পূর্ণ উলটে দিকে টার্ন নেয়। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সোজা তাতে গিয়ে ধাক্কা মারে পুলকারটি। পরে রাস্তার পাশে থাকা নয়ানজুলিতে উলটে যায়।
এই দুর্ঘটনায় জখম হওয়া শিশুদের চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই সেখানে গিয়ে পৌঁছান স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনওরকম যাতে অবহেলা না হয় তার দিকে কড়া নজর রাখেন। পরে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বলে দাবি করেন। কিন্তু, সেইমানের পরিষেবার খুবই অভাব রয়েছে এখানে। তাই তিন ঘন্টার রাস্তা পেরিয়ে কলকাতার হাসপাতালে পাঠাতে হচ্ছে গুরুতর জখম হওয়া শিশুদের। আমি আগেও বহুবার এখানকার সুপারকে বলেছি আপনাদের কী দরকার বলুন। প্রয়োজনে আমি সাংসদ কোটার টাকা থেকে এখানকার জন্য খরচ করব। স্থানীয় মানুষের যাতে কোনওরকম ক্ষতি না হয় সেটাই আমি চাই।’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.