রমনী বিশ্বাস, তেহট্ট: ভুয়ো আইএএস কাণ্ডের মাঝেই ফের প্রকাশ্যে জাল আধার কার্ড (Aadhaar Card) তৈরির চক্র। বাঁকুড়ার পর এবার নদিয়ার (Nadia) মুরুটিয়া থানার আড়ংদহ গ্রামে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে একের পর এক জেলা থেকে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির খবর যেভাবে সামনে আসছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত পরিতোষ দাসের বাড়িতে চলছিল ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির কারবার। ৭০০ টাকার বিনিময়ে গত শনি ও রবিবার রমরমিয়ে চলছিল কম্পিউটারের ডেটা এন্ট্রি। গ্রামবাসীদের একাংশের সন্দেহ হওয়ায় করিমপুর-১ এর বিডিও অনুপম চক্রবর্তীর এবং পিপুলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলসুরত মণ্ডলের কাছে নালিশ জানান তাঁরা। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত প্রধান মুরুটিয়া থানায় রবিবার লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার তিন অভিযুক্তকে আটক করে মুরুটিয়া থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির কথা তাঁরা স্বীকার করে নেন। এর পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বাড়ি থেকে কম্পিউটার সেট, ফিংগার প্রিন্ট মেশিন-সহ আধার কার্ড তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। সোমবার অভিযুক্তদের তেহট্ট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ধৃতরা হল মুরুটিয়া থানার আড়ংদহ গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ দাস, মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদ্দুর রহমান মণ্ডল, হরিহরপাড়া থানার জগন্নাথপুর গ্রামে বাসিন্দা রাজু মন্ডল। ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও অনুপম চক্রবর্তী বলেন, “গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়। এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার মড়ার গ্রামেও ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির রমরমা ব্যবসা চলছিল। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.