Advertisement
Advertisement

Breaking News

Digital arrest

আন্তঃরাজ্য ডিজিটাল অ্যারেস্ট প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস! বিষ্ণুপুর পুলিশের জালে ভিনরাজ্যের ৩

কী করে প্রতারণা চক্রের কথা জানতে পারল পুলিশ ?

3 arrested, allegedly involved in digital arrest
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:February 26, 2025 7:56 pm
  • Updated:February 26, 2025 9:24 pm  

অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: আন্তঃরাজ্য ডিজিটাল অ্যারেস্ট চক্রের পর্দাফাঁস করল করল বিষ্ণুপুর পুলিশ। তদন্তকারীদের জালে ভিন রাজ্যের তিন যুবক। এই ঘটনায় আগেই পুলিশ চারজনকে গ্ৰেপ্তার করেছিল। নতুন করে গ্রেপ্তারির পর ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭। এই ঘটনায় কোটি-কোটি টাকার লেনদেন ও বিদেশি প্রতারণা চক্রের যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে ১০ লক্ষ ২১ হাজার টাকা প্রতারণা অভিযোগ সামনে আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শুধু রাজ্য নয় জাল বিছিয়ে রয়েছে ভিনরাজ্যে। সেই মতো বাঁকুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্ৰামীণ) মাকসুদ হাসানের নেতৃত্বে ওড়িশা ও কেরলে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ওড়িশার সুবর্ণপুর জেলার সাকমা থেকে কুলু প্যাটেল ও অভিষিক্তা মেহার নামে দুই যুবক ও কেরলের কোজিকোড় এলকায় থেকে হম্মদ আফীফ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩ জনেরই বয়স ২০ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানায়। বুধবার তাঁদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পেশ করা হলে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে বিচারক ধৃতদের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্ৰামীণ) মকসুদ হাসান বলেন, আগে তেলেঙ্গানা ও হায়দরাবাদ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদেরকেই পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এই অভিযুক্তদের নাম উঠে আসে। এরপর তদন্তকারীদের দুটি টিম তৈরি করা হয়। একটি টিমকে কেরল এবং অপর টিমকে ওড়িশায় পাঠানো হয়। ২৩ তারিখ এবং ২৪ তারিখে এই তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কী করে পুলিশ প্রতারণা চক্রের কথা জানতে পারল? অবসর প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি শ্যামাপদ মণ্ডল ১৯ জানুয়ারি বিষ্ণুপুর থানায় ১০ লক্ষ ২১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ জানান। তদন্তে নামে পুলিশ। তাতে উঠে আসে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণার পর তা একের পর এক মোট তিনটি স্তরে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল।  কিছু টাকা তুলেও নিয়েছিল প্রতারকেরা। টাকা স্থানান্তর ও টাকা তুলে নেওয়ার সূত্রই তাঁদের এই তদন্তে মূল অস্ত্র হয়ে উঠে। বিরাট এই চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে পুলিশ আরও জেরা করছে ধৃতদের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub