ছবি: প্রতীকী
সুমিত বিশ্বাস ও চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়: দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে পুরুলিয়ার দুই কিশোর। নিতুড়িয়া থানা এলাকার পারবেলিয়ার বাসিন্দা ওই দুই জখম কিশোর অস্ত্রোপচার হয়েছে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে। সোমবার রাতের এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া কয়েকটি সূত্রের ভিত্তিতে নিতুড়িয়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
সোমবার রাত প্রায় ৯টা। পারবেলিয়া কোলিয়ারি এলাকার ৩ নং কলোনির বাসিন্দা বছর ষোলর মুকেশ কেওড়াকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় ক্লাবের এক সদস্য। মুকেশ পারবেলিয়া বাংলা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানিয়েছে পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির প্রায় ৫০০ মিটার দূরে, পূর্ব বর্ধমান জেলা সংলগ্ন দামোদর নদের কাছে নিয়ে গিয়ে কেউ বা কারা তাকে গুলি করে। মুকেশের পেটে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলে পারভেজ আনসারি নামে বছর সতেরোর আরেক কিশোরও গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পারভেজ ধানবাদের আইটিআই-এর ছাত্র। কোমরে গুলি লাগায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে।
গুলিবিদ্ধ দুই ছাত্রকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে দামোদরের সেতু পেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কুলটি থানার শাকতোড়িয়ার ইসিএল-এর হাসপাতালে ভরতি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই দুজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে পরে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মুকেশ ও পারভেজকে। শরীর থেকে গুলি বের করার জন্য তাদের অস্ত্রোপচার শুরু হয়।
তবে সোমবার রাতে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে মুকেশকে গুলিবিদ্ধ করার নেপথ্যে কী কারণ, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। মুকেশ এবং পারভেজের উপর হামলাকারী কি একই? এই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। রাতেই ঘটনাস্থলে যান রঘুনাথপুরের এসডিপিও দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়, সার্কল ইন্সপেক্টর সুজিত পতি এবং নিতুড়িয়া থানার ওসি অনুপ ঘোষ। খালি কার্তুজ ছাড়া সেখান থেকে কিছুই মেলেনি। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া জানিয়েছেন যে কিছু সূত্রের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দুষ্কৃতীদের দ্রুত খুঁজে বের করতে তৎপর পুলিশ। দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে কোলিয়ারি এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.