রঞ্জন মহাপাত্র ও দিব্যেন্দু মজুমদার: এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের দিঘায় মোহনায় উঠল বিপুল পরিমাণ ইলিশ৷ উত্তাল ঢেউয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মাঝ সমুদ্রে গিয়ে প্রায় ৫০ টন ইলিশ তুলে আনে বেশ কয়েকটি ট্রলার৷ চলতি বর্ষার মরশুমে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি পরিমাণ ইলিশ সংগ্রহ করা হয়েছে৷ একসঙ্গে এত পরিমাণ ইলিশ ওঠায় বাজারে দাম যে খানিকটা কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী৷ একলপ্তে বেশি মাত্রায় ইলিশ ওঠায় আর্থিক ভাবে কিছু লোকসানের মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা৷ যে মাছ গত সপ্তাহে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, সেই মাছই এখন বিকচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়৷ জোগান বেশি থাকার এই মুহূর্তে ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের দাম চলছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা৷ ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশের দর উঠেছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার কাছাকরাছি৷
অন্যদিকে, খোকা ইলিশের বিক্রি রুখতে অভিযানে নামল শ্রীরামপুর পুরসভা৷ বর্ষার মরশুমে চাহিদা মতো ইলিশের জোগান কম থাকায় খোকা ইলিশের রমরমা বাড়ছিল বাজারে৷ আইন ভেঙে দেদার চলছিল বিক্রি৷ মৎস্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ৪০০ গ্রামের নিচে ইলিশ মাছ বিক্রি নিষিদ্ধ৷ এমনকি, নিষিদ্ধ ইলিশ কিনলেও ক্রেতাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা ও বিক্রেতার জেল পর্যন্ত হতে পারে৷ একইভাবে নিষিদ্ধ ইলিশ ধরার উপর একই নিয়ম কার্যকর৷ কিন্তু, বড় ইলিশ না পেয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় এতদিন রমরমিয়ে চলছিল ইলিশ শিকার, বিক্রি-বাটা৷
ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে নানান বিধিনিষেধ কার্যকর থাকার পরও কীভাবে বাজারে ঢুকল খোকা ইলিশ? সম্প্রতি, শ্রীরামপুর পুরসভার কাছে খবর পৌঁছায়, যে নজর এড়িয়ে দেদার বিকোচ্ছে ৪০০ গ্রামের কম ইলিশ৷ এরপরই আজ দুই কাউন্সিলর নেতৃত্বে শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন মাছের আড়তে অভিযান শুরু হয়৷ অভিযান চলিয়ে উদ্ধার হয় কয়েক কিলো খোকা ইলিশ৷ তবে, জরিমানা না নিয়ে এদিন সতর্ক করা হয় ব্যবসায়ীদের৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া দেওয়া, ভবিষ্যতে এই ধরনের বেআইনি কাজ করলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করবে পুরসভা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.