ছবি: প্রতীকী
অর্ণব দাস, বারাসত: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ডাক মেলেনি। এই অভিযোগ তুলে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৩জন সদস্য। মঙ্গলবার বারাসত ১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল। তবে দলীয় কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের হেমন্ত বসু নগর এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক শাহাজি, অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবির, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদ উদ জামান-সহ অন্যান্যরা। অভিযোগ, কর্মসূচির মধ্যেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আক্রান্ত হন। এবিষয়ে আরশাদ উদ জামান বলেন, “পিছন দিক থেকে কেউ ইট ছুড়ে মারে। পায়ে লেগে আমি আহত হই। ভিড়ের মধ্যে থেকে কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলতে পারব না।” একইসঙ্গে দলীয় কর্মসূচিতে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম পাল।
এদিনই পঞ্চায়েত প্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করে দলীয় পদ থেকে গণ-ইস্তফার কথা জানান। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “দলীয় কর্মসূচি সম্বন্ধে আমাদের জানানো হয় না। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি সেরে এদিন বিকেল তিনটের সময় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্তু, সেটাও হয়নি। তাই আমরা ইস্তফার পথেই হাঁটতে বাধ্য হলাম। আমাদের মোট ২৩জন পঞ্চায়েত সদস্য দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।” এবিষয়ে কদম্বগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি নিজামুল কবির বলেন, “প্রতিটি কর্মসূচিতেই সবাইকেই জানানো হয়। তাই, দলীয় কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ কেন করেছেন সেটা বলতে পারব না। ইস্তাফার বিষয়টিও আমার জানা নেই। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পায়ে আঘাত লাগার ঘটনা ঘটেছে বলেও বলতে পারব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.