ফাইল ছবি
অর্ণব দাস, বারাসত: ভোটের মুখে আরও একবার বেলাগাম বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। চ্যালাকাঠের দাওয়াইয়ের পর এবার তৃণমূলকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্কে তৈরি হয়েছে। আগেও তাঁর মুখে নানা উসকানিমূলক মন্তব্য, কুকথা শোনা গিয়েছে। শুক্রবার ফের একই কায়দায় মধ্যমগ্রামে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর তৃণমূলকে কুকুর বলে কটাক্ষ করে ‘মুগুর দেওয়ার’ দাওয়াই দিলেন তিনি।
বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গি মোড়ের সেই সভায় তিনি বলেন, “যে বিরোধী ভোটার তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না, ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই থাকতে হবে। সেই সময় কিছু হলে তাঁরা যেন বলতে না আসেন। মূল্যবান ভোটগুলি নষ্ট করবেন না। বাঁদরামি করবেন না। ২৬ তারিখ কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। তার পর আমাদের বাহিনী থাকবে, তখন অভিযোগ করবেন না, আমার কী হল।”
চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারির পালটা জবাব দিতে গিয়ে বিতর্কে বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। তিনি বলেন, “জুলুমবাজি করেই তৃণমূল সরকারে টিকে রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলিতেও জিতেছে জুলুমবাজি করে। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। আশা করি এবারের ভোটে তার প্রতিফলন ঘটবে। তৃণমূলের যে বিধায়ক হুমকি দিয়েছেন ভোটের পর দেখা যাবে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” তাঁর সংযোজন, “ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। মানুষ এবার সন্দেশখালির মতো এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাবে। তাঁর সামনে তৃণমূল বিধায়কের মতো কিছু অপদার্থ পড়লে তারও যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।”
এর পরই বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি, “মুগুর দিয়েই জবাব দেওয়া হবে। তৃণমূল তো এখন পাগলা কুকুর হয়ে গিয়েছে। কুকুরকে সোজা করতে হলে মুগুর দিতেই হবে।” চ্যালাকাঠের পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে এবার মুগুর থাকবে বলেও জানান তিনি। বিজেপি প্রার্থীর এই মন্তব্য নিয়ে সরব শাসক দল। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এসব কারণেই দলের কর্মীরাই ওঁর সঙ্গে নেই। মানুষ ভোটে সব জবাব দিয়ে দেবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.