সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে হিন্দু মহাসভা সমর্থিত প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ভোট দিলে বুলেট খেতে হবে। শান্তিপুরের একাধিক জায়গায় ভোটের দিন দেখা গেল এমনই চাঞ্চল্যকর পোস্টার। বিজেপি যুব মোর্চার নামে পড়া এই পোস্টারে চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি যুব মোর্চার দাবি, তৃণমূল অপপ্রচার করছে।
সোমবার রাজ্যের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। তার মধ্যে একটি রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র (Ranaghat Lok Sabha)। মতুয়া ভোট যে দল নিজেদের দিকে টানতে পারবে তারা জয়ের মুখ দেখবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এই কেন্দ্রে মূল লড়াই তৃণমূল, বিজেপির মধ্যেই। তবে ভোটের কিছুদিন আগে জগন্নাথ সরকার নামে শান্তিপুরের এক বাসিন্দা নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে হিন্দু মহাসভা ঘোষণা করে তারা নির্দল প্রার্থীকে সর্মথন করবে। ঘটনাচক্রে এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর নামও জগন্নাথ সরকার। সমনামের প্রার্থী থাকায় আখেরে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছিল গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের অভিযোগ, ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই ভোটারদের ভয় দেখাতে এই পোস্টার মেরেছে বিজেপির যুব মোর্চা।
ভোটের আবহে রবিবার রাতে শান্তিপুরের (Shantipur) বাগআচড়ায় বিজেপির যুব মোর্চার নামে পোস্টার পড়ে, হিন্দু মহাসভা সর্মথিত প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ভোট দেওয়া যাবে না। ভোট দিলে বুলেট খেতে হবে। পোস্টার স্থানীয়দের চোখে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির দাবি, এই এলাকায় তাঁদের সংগঠন যথেষ্ঠ শক্তিশালী। তাঁদের এই হুমকি দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই কাজ তৃণমূল করেছে।
বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি বলেন, “বাগআচড়া পঞ্চায়েতে বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী। কাউকে হুমকি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। জনতার রায়ে আমরা পঞ্চায়েত গড়েছি। ৪ তারিখে সেই জনতার রায়ে তৃণমূল এখান থেকে মুছে সাফ হয়ে যাবে। এই নোংরামো তৃণমূল করছে। ওরা পরিকল্পিতভাবে সমাজে চাঞ্চল্য ছড়াতে এই কাজ করেছে। মানুষকে আমরা বুঝিয়েছি। মানুষ আমাদের পাশে রয়েছে।” পালটা দাবি করে তৃণমূলের মিলন ঘোষ বলেন, “আমাদের বাগআচড়া শান্তিপূর্ণ জায়গা। ভোটে কোনও সময় এখানে অশান্তি হয়নি। বিজেপি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। এই হুমকির পর গ্রামের মানুষ বুথমুখী হবে না। হিন্দু মহাসভার যে প্রার্থী তিনি একটিও ভোট না পান সেই জন্য এই গুলো করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.