Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bongaon

‘বিজেপি অশান্তি ছড়াতে এলে গাছে বেঁধে রাখবেন’, ‘নিদান’ বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থীর

নির্বাচনের দিন অশান্তি হওয়া বুথ এলাকায় গিয়ে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর সুদ-সমেত ফেরত দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার পালটা দিতে এমন মন্তব্য তৃণমূল প্রার্থীর।

2024 Lok Sabha Election: TMC candidate suggests to tie BJP leaders in trees if they try to spread unrest, makes controversy
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 26, 2024 5:20 pm
  • Updated:May 26, 2024 5:33 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নির্বাচনের দিন অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বনগাঁর বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। তার পালটায় এবার বিজেপি নেতাদের গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী তথা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। ঘটনার পর শনিবার মালিদা হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। ভোটের ফলাফলের পর তিনি সেই ঘটনা সুদ-সমেত ফেরত দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর রবিবার এলাকায় গিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর নিদান, ”বিজেপি অশান্তি ছড়াতে এলে গাছে বেঁধে রেখে খবর দিন পুলিশকে।”

গত ২০ মে পঞ্চম দফায় লোকসভা ভোট (2024 Lok Sabha Election) হয়ে গিয়েছে বনগাঁয়। ওইদিন বাগদার বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিদা হাই স্কুল সংলগ্ন বুথের বাইরে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের কয়েকজন জখম হন। এর পর শনিবার সেই মালিদা গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। সেখানে তিনি তৃণমূলের (TMC) উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, আগামী চার জুন ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর সুদ-সমেত ফেরত দেওয়া হবে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ (Bongaon)সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাসে ভুগবে বাংলা, দুর্যোগ কাটবে কবে?]

এর পর রবিবার দুপুরে সেই মালিদা গ্রামে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মীরা| আতঙ্কগ্রস্ত তৃণমূল কর্মীদের আশ্বস্ত করেন তাঁরা| বিশ্বজিৎবাবু তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ”আপনারা ভয় পাবেন না। বিজেপির জেলা সভাপতি এলাকায় এসে যদি সন্ত্রাস তৈরি চেষ্টা করে, আপনারা ওকে গাছে বেঁধে রেখে খবর দেবেন।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ”২০১১ সালের নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সমগ্র রাজ্যজুড়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনানো হয়েছিল। কিন্তু এবার চার জুন ফলাফল ঘোষণা করা হওয়ার পর আর রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনানো হবে না। যে যেমন গান পছন্দ করে, তাঁকে সেই ভাষায় সেই গান শোনানো হবে।” তাঁদের এই বাকযুদ্ধ ভোটের পরও বনগাঁর রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত, তা স্পষ্ট।

[আরও পড়ুন: এক হাতে ছাতা ও অন্য হাতে ধুতির খুঁট, ঝড়ের আগে ফের হাজির ‘সুপার হিরো’ কান্তি বুড়ো]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement