Advertisement
Advertisement

Breaking News

Asansol

হারের নেপথ্যে ‘প্রক্সি ভোট’, জয়ী প্রার্থীকে কাজে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে আক্ষেপ আলুওয়ালিয়ার

'জনগণকে সুখী রাখার দায়িত্ব জয়ী প্রার্থীর, আমার কাছে যে ব্লু-প্রিন্ট আছে সেটা জয়ী জনপ্রতিনিধিকে দেব', বললেন এসএস আলুওয়ালিয়া।

2024 Lok Sabha Election: SS Aluwalia, defeated BJP candidate blames prxy votes in Asansol, says to help winning candidate
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 8, 2024 9:30 pm
  • Updated:June 8, 2024 9:35 pm

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি’। নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্পের ব্লু-প্রিন্টের কথা উল্লেখ করে পরাজয়ের পর এভাবেই আক্ষেপ তুলে ধরলেন আসানসোলের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পানীয় জলের সংকট। ‘এই সমস্যা নিরসনে আমি কাজ করতাম’, এমনটাই দাবি আলুওয়ালিয়ার। তবে নিজে হারলেও জয়ী শত্রুঘ্ন সিনহাকে (Shatrughan Sinha) সাহায্যের বার্তা দিলেন। তাঁর কথায়, ”কেন্দ্রের প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করতাম। আসানসোল এক শিল্পাঞ্চল। শিল্প কারখানাকে বাঁচাতে সবরকম প্রচেষ্টা চালানো দরকার। শুধু ভোট পাওয়া নয়, জনগণকে সুখী রাখার দায়িত্ব জয়ী প্রার্থীর। শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান না হলে এই শহর বৃদ্ধদের শহরে পরিণত হবে। আসানসোলের প্রতিনিধি হয়ে যদি আসানসোলকে যদি আগামী ৫০ বছরের পরিকল্পনা করতে না পারি তাহলে আসানসোলকে বাঁচাতে পারব না। তাই আমার কাছে যে ব্লু-প্রিন্ট আছে সেটা জয়ী জনপ্রতিনিধিকে দেব।”

আসানসোল (Asansol) লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া (SS Aluwalia)। ভোট গণনার চারদিন পরে আসানসোলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সেই পরাজয়কে মেনে নিয়ে, নেপথ্য কারণ হিসাবে ‘প্রক্সি’ ভোট ও ভুয়ো ভোটারের প্রসঙ্গ টানলেন বিজেপি প্রার্থী ((BJP candidate)। এর পাশাপাশি লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় ৩০০ বুথে দলের এজেন্ট না থাকায়, সেখানে ছাপ্পা ভোট হয়েছে বলে দাবি সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার। তা তিনি ভোটের দিন বুঝতে না পারলেও, ভোটগণনার দিন গণনাকেন্দ্রে গিয়ে কিছু তথ্য পেয়ে তা বুঝতে পারি বলে দাবি করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ মেলোনির আমন্ত্রণে সাড়া, শপথ নিয়েই ইটালি উড়ে যাচ্ছেন মোদি

আলুওয়ালিয়ার দাবি, ”গত ফেব্রুয়ারি মাসে বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ হিসেবে আমি দুই বর্ধমানের প্রায় এক লাখের বেশি ভুয়ো ভোটার আছে বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু তার কোনও প্রত্যুত্তর পাইনি। সেই ফল এখন ভুগতে হচ্ছে। কার্যত ভুয়ো ভোটার এবং প্রক্সি ভোটেই হারতে হয়েছে।” দলীয় স্তরে কি কোনও খামতি ছিল, যার জন্য তিনি বাংলা থেকে পরপর তিনবার নির্বাচিত হয়েও এবার দিল্লি যেতে পারলেন না? সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য খোলসা করে বলেননি বিদায়ী সাংসদ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চরম গরমে গামছা দিয়েই হোক ‘কুল ফ্যাশন’! রইল ট্রেন্ডি ফ্যাশন ফিরিস্তি]

বিজেপি প্রার্থীর এইসব দাবি ও অভিযোগ নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসুর প্রতিক্রিয়া, ”হেরে গিয়েছেন, তা মেনে নিন। যা বলছেন, তা তো তিনিই ঠিক করতে পারতেন। কারণ, তিনি তো কেন্দ্রের শাসকদলের প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সবকিছুই ছিল। আসল কথা বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। আর মানুষ তাঁদের ভোট দেননি।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ