অভিষেক চৌধুরী, কালনা: রাজ্য সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। রাজ্যের মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে সরকারি অর্থ সাহায্য পান এই প্রকল্পের মাধ্যমে। সেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রিন্টেড শাড়ি পরে ভোট দিতে যাওয়ায় যে বুথ থেকে ফিরতে হবে, তা ভাবতেও পারেননি স্থানীয় মহিলারা। সোমবার, ১৩ মে বর্ধমান পূর্ব (Burdwan Purba) লোকসভা কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন এমনই জটিল সমস্যা দেখা দেয়। বুথে থাকা পুলিশকর্মীরা জানান, শাড়ি বদলে আসতে হবে, তবেই ভোট দেওয়া যাবে। এনিয়ে ভোটের দিন দেখা দিল রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের চাঁদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য অনিমা দেবনাথ। তাঁর পরনে ছিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রতীক আঁকা শাড়ি। অনিমাদেবীর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও ওই একই রকম শাড়ি (Saree) পরেছিলেন। সাদা শাড়ির উপরে আঁকা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। অভিযোগ, বুথের বাইরে থাকা পুলিশকর্মীরা তাঁদের বলেন, ভোট দিতে হলে শাড়ি বদলে আসতে হবে। তাতেই আপত্তি তোলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিকের তর্কাতর্কিও হয়। দিলীপ মল্লিক জানান, “এখানে আমাদের দলের কোনও সিম্বল নেই। আপনারা জানেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ একটি সরকারি প্রকল্প। এটায় কিসের আপত্তি? কত বড় ঔদ্ধত্য পুলিশের যে ওঁকে বলা হচ্ছে শাড়ি বদলে অন্য শাড়ি পরে আসতে?” পালটা দিয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা বিশাল চৌধুরীর বক্তব্য, “ভোট দিয়ে উনি বেরিয়ে এলে কোনও সমস্যা নেই, কিন্তু ওই শাড়ি পরে বার বারই তিনি ভোটকেন্দ্রের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এতে ভোট প্রভাবিত হতে পারে, তাই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.