সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বপ্ন হোক বা দাবি, একটাই। সেটা হল পৃথক গোর্খাল্যান্ড চাই। প্রতি নির্বাচনে এই দাবি পূরণের স্বপ্ন দেখানো হয় বারবার। কিন্তু তা রয়ে যায় স্বপ্নের স্তরেই। এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়নের সূচনাটুকু হয়নি। কোনও রাজনৈতিক দলই আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণ করেনি এখনও। বিশেষত এ ব্যাপারে বিজেপিই বেশি আশাহত করেছে বলে অভিযোগ। ক্রমে আশাভঙ্গ হতে হতে ‘বিদ্রোহ’ এবং তা থেকে সোজা নির্দল হয়ে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামা। শুক্রবার ভোট পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। এবার কী মনে হচ্ছে কার্শিয়াংয়ের ‘বিদ্রোহী’ বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার? তিনি অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। বললেন, ”আমিই জিতব।”
শুক্রবার লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়েছে দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে। সাতসকালেই ভোট দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের নির্দল প্রার্থী বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূলের দ্বৈরথে কিন্তু নির্দল হয়ে বিষ্ণুপ্রসাদের লড়াই একটা বড় ফ্যাক্টর। বিজেপির তরফে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) মাধ্যমে বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিরস্ত করার হাজার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে তিনি যাননি। শেষ পর্যন্ত ছিলেন।
ভোটপর্ব মিটতেই ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’ কথা বলল তাঁর সঙ্গে। ফলাফল কেমন হবে বলে মনে হচ্ছে? উত্তরে বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা (Bishnuprasad Sharma)জানান, ”আমি সকালে শিলিগুড়িতে ছিলাম। কয়েকটা ভোটকেন্দ্র ঘুরেছি। পরে কালিম্পংয়ের দিকে চলে এসেছি। দেখেশুনে মনে হল, আমি জিতবই।” এদিনও বিষ্ণুপ্রসাদের গলায় বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) রাজু বিস্তার সমালোচনা শোনা গেল। কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুক ব্যবহার না করায় বিজেপি প্রার্থী বলেছিলেন, “বুথ থেকে সিআরপিএফ জওয়ানকে ভাগিয়ে দিয়েছে। ওদের জিজ্ঞেস করব, আপনাদের বন্দুকগুলো কখন কাজে আসবে?” হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই মন্তব্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনের শীতলকুচিতে গুলিচালনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মত রাজনীতিকদের একাংশের।
তা নিয়ে বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার প্রতিক্রিয়া, ”ওঁর মতো আমিও একজন প্রার্থী। আমিও বুথে বুথে ঘুরেছি। কিন্তু কোথাও তো বাহিনীকে দেখে মনে হয়নি, তারা নিষ্ক্রিয় বলে। আর ওঁর এই কথা তো জওয়ানদেরই দুর্বল বলে বুঝিয়ে দিচ্ছে।” নির্দল হয়েই শেষ পর্যন্ত লড়েছেন। বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিষ্ণুপ্রসাদ জানালেন, ”আমি এজেন্ট দিইনি। বিজেপি, তৃণমূল সবাই তো এজেন্ট দিয়েছিল। তারাই আমার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন।” একদিকে ভূমিপুত্র তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা, আরেকদিকে ‘বহিরাগত’ বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার ভোটবাক্স ‘সেফটিপিন’-এর খোঁচায় কতটা ছিন্নভিন্ন হয়, সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.