ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের পাশাপাশি তরুণ সমাজের চরিত্র গঠন ও খেলাধুলার মানোন্নয়নে এবার আর্থিক অনুদান দেবে পুলিশ বিভাগও৷ ‘কমিউনিটি পুলিশিং’-এর ধারণাকে সঠিক অর্থে প্রতিষ্ঠা করতেই এভাবে সামাজিক ক্ষেত্রে পুলিশ বিভাগকে সরাসরি সংযুক্ত করার চিন্তাভাবনা নবান্ন শীর্ষমহলের৷ সূত্রের খবর, চলতি পুজোর মরশুম থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে প্রথম বছরের জন্য অনুদান দেওয়া হবে রাজ্যের মোট দু’হাজার ক্লাবকে৷ আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ক্লাবপিছু ১০ হাজার টাকা৷
রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার ব্যাখ্যা, পুলিশকে সাধারণ মানুষের আরও কাছে নিয়ে আসার জন্যই এই ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ ওই কর্তার কথায়, “দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, পুলিশ কর্মীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি যেন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত হয়৷ সেই ভাবনা থেকেই ক্লাব সংগঠনগুলির সঙ্গে পুলিশ বিভাগের এই সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের প্রকল্প৷” তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্প অনুযায়ী রাজ্যের অন্তত দু’হাজার ক্লাবকে দশ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে৷ এই বিষয়ে লিখিত প্রস্তাব তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ পুজোর আগেই সরকারি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হবে৷ স্বরাষ্ট্রকর্তাদের প্রাথমিক হিসাব, এই বাবদ খরচ হবে প্রায় ২ কোটি টাকা৷
জানা গিয়েছে, এই ‘কমিউনিটিং পুলিশিং’ প্রকল্পের আওতায় রাজ্য ও কলকাতা–দুই পুলিশকেই আনা হচ্ছে৷ সব মিলিয়ে প্রথম বছর সাহায্য দেওয়া হবে দু’হাজার ক্লাবকে৷ এর মধ্যে বিভিন্ন জেলার বারোশো ক্লাবকে অনুদান দেবে রাজ্য পুলিশ৷ কলকাতা পুলিশ দেবে মহানগরীর ৮০০ ক্লাবকে৷
মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্লাবসংগঠনের মানোন্নয়ন ও খেলাধুলার উন্নতিতে প্রথম থেকেই উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর নির্দেশেই গত কয়েক বছর ধরেই ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর আর্থিকভাবে দুর্বল ক্লাবগুলিকে খেলার সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে৷ দফতরের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদানও দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে সরাসরি এমন উদ্যোগ এই প্রথম৷ তাই উৎসবের আগে ক্লাবগুলির কাছে খুশির খবর শোনাল নবান্নে এই সিদ্ধান্ত৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.