Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন

কজন স্টেনগান উঁচিয়ে দুটো ফাঁকা গুলি করে জনগণকে সরিয়ে দেয়৷ পরে পরপর পাঁচটা গুলি করে ইয়ার আলিকে লক্ষ্য করে৷

2 TMC workers are shot dead in Domkal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 1, 2016 1:53 pm
  • Updated:September 1, 2016 1:53 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, ডোমকল: সিনেমার কায়দায় চায়ের দোকনে বসা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে স্টেনগান থেকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে পালাল দুষ্কৃতীরা৷ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকলের রমনা শেখপাড়ায়৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম ইয়ার আলি (৫৩) এবং আবেদুল ইসলাম (৪০)৷ দু’জনের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে শম্ভুনগরে৷ ঘটনার পরেই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে গিয়েছেন ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান৷

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর৷ তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে৷ যদিও তা অস্বীকার করেছে সিপিএম৷ তৃণমূলের সহ-সভাপতি মুকুল রায় ডোমকলে আসছেন বলে জানা গিয়েছে৷ গত বছরই নিহত ইয়ার আলি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন৷ তারপর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ৷ তাঁর স্ত্রী সাজেদা বিবি বর্তমানে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য৷

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিনটি মোটরবাইকে ছ’জন দুষ্কৃতী হেলমেট পরা অবস্থায় ওই চায়ের দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়৷ একজন স্টেনগান উঁচিয়ে দুটো ফাঁকা গুলি করে জনগণকে সরিয়ে দেয়৷ পরে পরপর পাঁচটা গুলি করে ইয়ার আলিকে লক্ষ্য করে৷ ওই সময় আবেদুল বাধা দিতে গেলে তাঁকে গুলি করে৷ ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ইয়ার আলি৷ গুরুতর জখম অবস্থায় আবেদুলকে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ অবস্থা খারাপ থাকায় চিকিৎসক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করেন৷ সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয় আবেদুল ইসলামের৷মিরসাদ শেখ-সহ অন্য দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার পরই বাইকে চেপে পালায়৷ বছর সাতেক আগে মিরসাদের দাদা এরসাদ আলি খুন হয়েছিল৷ ওই খুনে অভিযুক্ত ছিলেন ইয়ার আলি৷ এদিন তারই বদলা নিল মিরসাদ৷

মিরসাদ শেখও দাগি দুষ্কৃতী৷ বছর চারেক আগে ইসলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এক ডাকাতির ঘটনায় জেলে ছিল৷ ভোটের আগে ছাড়া পেয়ে মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করত৷ সম্প্রতি বাড়ি ফিরেই এই খুনের ঘটনা ঘটাল৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন জানান, ‘‘সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই খুন করেছে৷ সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ইয়ার আলি৷ ওদের টার্গেটই ছিল, ওঁকে খুন করা৷” যদিও সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ নেই৷ এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল৷” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নারায়ণচন্দ্র দাস জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement