Advertisement
Advertisement

Breaking News

গরম লোহায় গলে মৃত্যু ২ শ্রমিকের, তুমুল বিক্ষোভ বার্নপুর ইস্কোয়

কুলটিতে বেআব্রু ইস্কোর সুরক্ষা ব্যবস্থা, গুরুতর জখম আরও সাত শ্রমিক

2 labourers killed in IISCO, Burnpur after Molten iron fell on them
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 6, 2017 8:45 am
  • Updated:May 6, 2017 8:45 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা মমির এক ভয়াবহ দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি কুলটির ইস্কো কারখানায়৷ ৮০ ফুট উপর থেকে প্রায় ১৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ফুটন্ত তরল লোহা পড়ে কার্যত গলে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের৷ গুরুতর জখম হলেন আরও সাত শ্রমিক৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ কারখানা সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন কুলটির বাসিন্দা আসিফ সিক্কা ও বার্নপুরের নয়াবস্তির বাসিন্দা শেখ শাহনওয়াজ৷ আহতরা হলেন আশিস সাউ, শঙ্কর নাথ, সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, সেলিম খান, রাজ কুমার শর্মা, অমিত হাঁসদা ও তুষার মাহালি৷ আহতদের মধ্যে তিনজন ভর্তি রয়েছেন বার্নপুরে ইস্কো হাসপাতালে৷ বাকিদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷

[ক্রিকেটের সেরা ছবি ফ্রেমবন্দি করে নজির কাশ্মীরি যুবকের]

শনিবার মর্মান্তিকভাবে দুই সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইস্কোর অন্যান্য কর্মচারীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, ইস্কো কর্তৃপক্ষ শ্রমিক সুরক্ষায় বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দেওয়ায় এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে অসহায় শ্রমিকদের৷ প্রত্যক্ষদর্শী অন্য শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সকাল ১০ টার কিছু পরে বয়লারের কাছে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা৷ সেই সময় মাথার উপর দিয়ে অন্যদিনের মতো গলানো তরল লোহা ট্রলির মাধ্যমে ‘কন্টিনিউয়াস কাস্টিং প্ল্যাণ্ট’-এর সি-১ বিভাগ থেকে অন্য প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ আচমকাই বিদ্যুত্‍ বিভ্রাট ঘটে৷ ট্রলি থেমে যায়৷ তখনই ট্রলিতে থাকা গলিত লোহার অর্ধেক নীচে পড়ে যায়৷ সেখানে প্রায় ১৫ জন ঠিকাশ্রমিক কাজ করছিলেন৷ গরম লোহায় দগ্ধ হন তাঁরা৷ গরম লোহায় দুই ঠিকাশ্রমিকের দেহ পুরোপুরি ঝলসে গিয়েছে৷ গলে গিয়েছে৷ বাকিরাও দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন৷

Advertisement

[ভারত মহাসাগরে লালফৌজের উপস্থিতিতে চরম উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন]

ঘটনায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অধীনের এই কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ মৃত ও আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন ঠিকা শ্রমিকরা৷ ইস্কো কর্তৃপক্ষ অবশ্য এদিন দুপুর পর্যন্ত মুখ খুলতে চাননি৷ তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আগে শ্রমিকদের চিকিৎসা৷ তারপর অন্য বিষয় নিয়ে ভাবা হবে৷’ মৃত ও আহতরা ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করতেন৷ ঘটনার পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শ্রমিকরা৷ তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার বিষয়টি বরাবর এড়িয়ে যায় ওই ঠিকা সংস্থা৷ এর আগেও ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও, সেগুলিকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি ওই ঠিকাদার সংস্থা বলে শ্রমিকদের অভিযোগ৷ এদিন নিরাপত্তা ছাড়াও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা৷ অবশেষে শ্রমিকদের দাবি মেনে ঠিকাদার সংস্থা দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়েছে৷ মৃতদের পরিবারের লোকজনকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছে ইস্কো কর্তৃপক্ষ৷

[টিকা এবং টুপির মধ্যে ভেদাভেদ করবে না সরকার, মন্তব্য যোগীর]

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের শিফট-এ কাজের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে৷ ঠিকাশ্রমিকদের অভিযোগ, স্থায়ী কর্মী থাকলেও তাঁদের দিয়েই সব কাজ করানো হয়৷ কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে কারখানা কর্তৃপক্ষ৷ আহতদের উন্নত চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ৷ কারখানার আইএনটিইউসি নেতা হরজিত্‍ সিং বলেন, “এটা আধুনিক কারখানা৷ সেখানে আধুনিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকাই কাম্য৷ কিন্তু তারপরেও এই দুর্ঘটনা খুবই দুঃখজনক৷ আমরা চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলাম৷ কর্তৃপক্ষ তা মেনে নিয়েছে৷”

[আবর্জনার স্তূপে ধস, ৪৩ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ চিনা আদালতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement