সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দামোদরে স্নান করতে গিয়ে এক যুবক ও একস কিশোরের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে স্নানে যাওয়া কয়েকজনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ার বাথানপাড়ার। মৃত দুজনের নাম ছোট্টু তুড়ি (২০) ও শেখ আরিফ ওরফে বিকি (১৬)। দামোদর নদের চরমানা এলাকা থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নৌকার মাঝিদের সাহায্যে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
[ বিয়ের আগের রাতেই নদিয়ায় খুন পাত্রীর বাবা, শোকের ছায়া এলাকায় ]
মৃত বিকির বাবা শেখ ভুটু জানান, এলাকার কয়েকজন মিলে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের সদরঘাট সংলগ্ন এলাকায় দামোদরের চরমানায় স্নান করতে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর দু’জনের খোঁজ মেলেনি। এদিন সকালে তিনি খবর পান ছেলের দেহ মিলেছে চরমানায়। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সেনাপতি জানান, বন্ধুরা মিলে আনন্দ করতে গিয়েছিল। সেখানে দামোদরে স্নান করতে নেমেছিল। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনজন তলিয়ে গিয়েছিল। একজন বাঁচাতে নামে। তখন তিনজনই তলিয়ে যেতে থাকে। কোনওক্রমে একজন উঠতে পারলেও বিকি ও ছোট্টু তলিয়ে যায়। বাকিরা ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
[ মেয়েদের প্রেরণা হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্তব্য কোবিন্দের ]
বাড়ি ফিরে তারা কাউকেই কিছু জানায়নি। এমনকী নিজের বাড়ির লোকজনকেও জানায়নি ওই দু’জনের তলিয়ে যাওয়ার কথা। এদিন সকালে বিকিদের এক সঙ্গীর পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাকে চেপে ধরেন স্থানীয়রা। ছোট্টু ও বিকির খোঁজ মিলছে না কেন জানতে চান তাঁরা। তখন সব কথা খুলে বলে সে। বিকিদের ওই সঙ্গী জানায়, স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল বিকি ও ছোট্টু। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে তার পায়ে চোট লাগে। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দু’জনের দেহ জলে ভাসতে দেখেন তাঁরা। তখন স্থানীয় নৌকার মাঝিদের সাহায্যে দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.