সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সরস্বতী পুজোর আনন্দের মাঝেই চরম দুর্ঘটনা। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল নদিয়ার হোগলবেড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা শান্তিলতা শীলের। গুরুতর জখম তাঁর দুই নাবালক নাতি, নাতনি। দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। একজনের অবস্থা আরও সংকটজনক হলে, তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যের মৃত্যুতে শোকের আবহ। অন্যদিকে, দুই খুদের এমন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চরম উদ্বেগে পরিবার।
দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়
শীত কিছুটা হলেও কমেছে। মিঠে রোদ্দুরের রেশ এখনও বেশ আরাম দেয়। তার মধ্যে চারপাশে চলছে সরস্বতী পুজো। মন্ত্রোচ্চারণ,ঘণ্টাধ্বনি, ধূপধুনো, প্রসাদ – এসব নিয়ে ভরপুর আনন্দে মেতে ছিল করিমপুর ব্লকের তারাপুর-উত্তরপাড়া এলাকার শীল পরিবার। দুই নাতি, নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সামনে রোদ গায়ে মেখে নিচ্ছিলেন প্রৌঢ়া শান্তিলতা শীল। ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১১টা। এমনই সময় ঘটে গেল দুর্ঘটনা। কৃষ্ণনগর-বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে মুর্শিদাবাদ থেকে নদিয়ার দিকে যাচ্ছিল একটি পণ্যবোঝাই গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আচমকা উলটে গাড়িটি সোজা ধাক্কা দেয় শান্তিলতা দেবীকে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান শান্তিলতা শীল। গাড়ির ধাক্কায় তাঁর সঙ্গে থাকা ৮ এবং ৯ বছরের দুই কচি ছেলেমেয়ে গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। দুই শিশুর মধ্যে একজনের পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হওয়ায় তাকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। ইট, পাথর ছুড়তে থাকেন তাঁরা। অগ্নিসংযোগের চেষ্টাও চলে। তবে খবর পেয়ে দ্রুত হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গাড়ির চালক পলাতক। তাঁর খোজে চলছে তল্লাশি।
শৈশবেই বিকশিত প্রতিভা, স্কুলের পুজোয় সরস্বতীর প্রতিমা গড়ে নজির খুদে পড়ুয়ার
অন্যদিকে, সরস্বতী পুজোর সকালেই ডাম্পারের ধাক্কায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। আহত তাঁর নাতনি। ভাঙড়ের শ্যামনগর হাড়োয়া রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গোয়ালঘরে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে। সেসময় গোয়ালঘরের ভেতরে ছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব আয়ুব আলি। কিছু বোঝার আগেই তিনি রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন। ডাম্পারের ধাক্কায় আহত হন তাঁর নাতনি আসিফা খাতুন। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। ডাম্পারটিতে ভাঙচুরের চেষ্টা চলে। খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে, পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। শেষমেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আয়ুব আলির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.