সম্যক খান এবং চন্দ্রজিৎ মজুমদার: নিম্নচাপ ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত একাধিক জেলা। বাঁধ ভেঙেছে। জল ঢুকেছে লোকালয়ে। ডুবেছে বাড়িঘর। এমন পরিস্থিতিতে জলে ডুবে প্রাণ গেল ২ জনের। মুর্শিদাবাদে ত্রাণ নিতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক শিশুকন্যার। অন্যদিকে কেশপুরের এক যুবক রাস্তা পার করতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার অন্তর্গত সোনাভাড়ুই গ্রামে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কুয়ো নদীর জল বেড়ে ভেসেছে গ্রাম। সেখানে ত্রাণ শিবির থেকে ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হল এক শিশুকন্যার। নাম দিশা বাগদি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ওই গ্রামের পাশে বাদশাহী সড়কের উপর ত্রাণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। দিশা মায়ের সঙ্গে ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় মায়ের কোল থেকে অসাবধানবশত জলে পড়ে যায় এবং বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনিক অব্যবস্থার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি।
কেশপুরের ভেলাঘাটে শেখ জিয়াসুদ্দিন(১০) নামে ওই কিশোর দুই বন্ধুর সঙ্গে রাস্তা পার হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই পা পিছলে পড়ে যায় তিনজনই। এলাকাবাসী দুজনকে উদ্ধার করতে সমর্থ হলেও একজনকে উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় তিন-চার ঘন্টা তল্লাশির পর বিকেলে ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়।
বৃষ্টি থেমেছে, কিন্তু এখনও বহু এলাকা জলমগ্ন। তার উপর জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার ফলে নদীগুলি ফুঁসছে। যার ফলে নতুন করে এলাকা প্লাবন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.