রাজা দাস, বালুরঘাট: ব্যক্তিগত মালিকানায় রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করায় মধ্যযুগীয় বর্বরতায় শিকার বিজেপির ২ মহিলা কর্মী। পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে তাঁদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। মারধরের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শুরু বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, ক’দিন ধরে গঙ্গারামপুর থানা এলাকার নন্দনপুর থেকে হাপুনিয়া পর্যন্ত রাস্তা তৈরি কাজ চলছিল। অভিযোগ, নন্দনপুরের বাসিন্দা স্মৃতিকণা দাস নামে এক মহিলার জমির উপর দিয়েই চলছিল ২৪ ফুটের রাস্তা তৈরির কাজ। তাতে একাধিকবার আপত্তি জানায় ওই মহিলা। তিনি জানান, রাস্তার জন্য তাঁর জমি যেন না দখল করা হয়। তাতে কর্ণপাত করেনি পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা। জমি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে স্মৃতিকণাদেবী ও তাঁর দিদি ধরনায় বসেন। অভিযোগ, সেই সময়ই স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূলের কর্মীরা তাঁদের মারধর করে। এরপর পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে ঘরে নিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে ওই মহিলাদের উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন স্মৃতিকণা দেবী।
মধ্যযুগীয় বর্বরতায় এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। তৃণমূল কর্মীদের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিজেপির কর্মী স্মৃতিকণাদেবীর সঙ্গে যা হয়েছে এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল কর্মীরা যা করেছে কোনও সভ্য মানুষ একাজ করতে পারে না। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের নাম জড়ানোয় দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ বলেন, কোন দলের নাম জড়িয়েছে জানা নেই। তবে যেই কাজটা করে থাকুক, এই ঘটনা নিন্দনীয়। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.