Advertisement
Advertisement

Breaking News

Siliguri

জঙ্গল নয়, বেহুঁশ নাবালিকাকে বাড়ি থেকেই বের করে যুবক! শিলিগুড়ির ছাত্রী খুনে গ্রেপ্তার প্রেমিক

দোষীদের ফাঁসি সাজা চেয়ে সোচ্চার হয়েছেন মৃতার মা।

2 arrested in mysterious death of minor girl in Siliguri

ফাইল ছবি

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 2, 2025 2:55 pm
  • Updated:April 2, 2025 2:58 pm  

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ির নাবালিকার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়। কিশোরীর প্রেমিক ও আরও এক নাবালককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীর শাস্তির দাবিতে, থানা ও নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন মৃতার মাও। তিনি দোষীদের ফাঁসি সাজা চেয়ে সোচ্চার হয়েছেন।

কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার তার প্রেমিক রোহিত রায় ও এক নাবালককে আটক করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি উঠে আসে। এদিকে ওই যুবকের বাড়ি এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী অঞ্জলি মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি অভিযুক্ত রোহিতকে তাঁর বাড়ি থেকে কিশোরীকে বাইরে নিয়ে যেতে দেখেছেন। তখন নাবালিকাকে দেখে সন্দেহ তৈরি হয়। তাঁর কথায়, “আমি এখানে বসে ছিলাম। তখন বুকে চেপে মেয়েটিকে  নিয়ে যাচ্ছে ও।মেয়েটির দেহ হলুদ হয়ে গিয়েছিল। তখনই আমার সন্দেহ হয় ও মারা গিয়েছে।” এই বয়ান সামনে আসার পর অভিযুক্ত প্রেমিকের দেওয়া বয়ান মিথ্যা বলে প্রমাণিত হচ্ছে। নাবালিকার পরিবারকে রোহিত জানিয়েছিলেন, তিনি নাবালিকাকে উত্তরকন্যার কাছে জঙ্গলের ধার থেকে উদ্ধার করেছেন। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল নাবালিকা কীভাবে উত্তরকন্যা পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে পৌঁছল? মেয়েটির প্রেমিকই বা সে কথা কীভাবে জানল?

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ি থেকে তিনবাত্তি মোড়ে বিরিয়ানি খাবার নাম করে বেরিয়েছিল কিশোরী। তবে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবারের সদস্যরা। শুরু হয় মেয়ের খোঁজ। এরপর হঠাৎ সেই নাবালিকার প্রেমিক ছাত্রীর পরিবারকে ফোন করে জানায়, কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে তাকে মৃত অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেই নাবালিকাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কিশোরীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। দেহেও কালসিটে দাগ ও আঘাত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, “ঘটনায় আমরা দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছি। কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে।” মৃতার মায়ের কথায়, “রোহিতের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিল তা জানতাম। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নাবালকেও ভালো করে চিনি। কিন্তু ওরা যে এই রকম করবে তা ভাবি নি। ওদের ফাঁসির সাজা চাই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement