Advertisement
Advertisement
Birbhum

বোমা খুঁজতে গিয়ে বোমাবাজদের খপ্পরে পুলিশ, ‘অনুব্রত গড়’ যেন দ্বিতীয় ওয়াসেপুর!

বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার ২।

2 arrested for hurling Bomb at police van in Birbhum

প্রতীকী ছবি।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 7, 2024 10:48 am
  • Updated:March 7, 2024 10:55 am  

দেব গোস্বামী ও সুরজিৎ দেব: অনুব্রত গড়ে ‘আক্রান্ত’ পুলিশ। লোকসভা ভোটের আগে গ্রামে বোমা বাঁধা চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। সেখানেই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে খবর। বুধবার রাতের লাভপুরের এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুক তৈরির সরঞ্জাম এবং প্রচুর গোলাবারুদ। যা দেখে অনেকেই বলছেন, বীরভূমে যেন দ্বিতীয় ওয়াসেপুর! যেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি চলছে। 

বুধবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে লাভপুরে হাতিয়া গ্রামে দুষ্কৃতীরা বোমা বানাচ্ছিল। খবর ছিল, আগ্নেয়াস্ত্র সহ জমায়েত করেছে কিছু যুবক। খবর পেয়ে পুলিশের একটি গাড়ি নিয়ে থানা থেকে বাহিনী পৌঁছয় সেখানে। এর পরই দুষ্কৃতীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। ঘটনায় আহত হন লাভপুর থানার এক পুলিশ কর্মী। যদিও পুলিশের দাবি,ওই পুলিশ কর্মী হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছেন। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে এবং সেখান থেকে তাঁকে রেফার করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। ঘটনার পর আগ্নেয়াস্ত্র সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, আজ তাঁদেরকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা যায়। ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বন্দুক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে ভাত চেয়ে কী পেলেন শাহজাহান? সিবিআইয়ের খাঁচায় কেমন আছেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’?]

অন্যদিকে, দিন চারেক আগে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় ভিন রাজ্যে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ঠিকাদার শেখ সালেহানের কাজে নামখানার পাতিবুনিয়া থেকে প্রায় ১৯ জন কাজে গিয়েছিলেন গুজরাটের সুরাটে। নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় মারপিট হয়। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সন্তু পাত্র নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক। রবিবার বিকেলে সুরাটের ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সন্তুর। মৃতের দেহ সুরাটে ময়নাতদন্তের পর বুধবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা।

মৃতদেহ নিয়ে ঠিকাদারের বাড়ি ঘিরে রাত পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। ঠিকাদারের বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। নামখানা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী বিক্ষোভ দেখায়। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের ধস্তাধস্তিও হয়। সুরাটে ময়নাতদন্তের পর স্থানীয়ভাবে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি তোলেন বাসিন্দারা।পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি শান্ত হয়।

[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর রেস্তরাঁয় বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মাথার দাম ১০ লক্ষ! ঘোষণা NIA-র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement