শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: গোয়ালপোখরে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে বন্দি পলাতকের ঘটনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী যোগ। পুলিশের দাবি, সাজ্জাক আলমকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী আব্দুল হোসেন ওরফে আবাল পালাতে সাহায্য করে। তদন্তকারীদের দাবি, সাজ্জাক আলাম কালিয়াচকে পোলট্রি ফার্মের মালিক খুনে অভিযুক্ত। আব্দুল হোসেন ওরফে আবাল বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। অবৈধ অনুপ্রবেশ, ডাকাতি-সহ একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে আবালের। ইসলামপুর জেলে থাকাকালীন সাজ্জাক ও আবালের পরিচয় হয়। সাজ্জাকের জেল পরিবর্তনের পর দুজনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে বুধবার সাজ্জাক এবং আবাল দুজনেই ইসলামপুর আদালতে গিয়েছিল। সেই সুযোগে কোনওভাবে আগ্নেয়াস্ত্র হস্তান্তর হয় বলেই দাবি।
পুলিশের আরও দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্র গায়ে থাকা কম্বলে জড়িয়ে সাজ্জাক প্রিজন ভ্যানে ওঠে। রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যাওয়ার সময় শৌচকর্ম সাড়ার অছিলায় পাঞ্জিপাড়ার একরচালা কালীমন্দিরের কাছে প্রিজন ভ্যান থেকে নামে। এরপর নিজের কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। সার্ভিস রাইফেল ছিনিয়ে পুলিশকে গুলি করার দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাজ্জাক এবং আবাল দুজনের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় বেশ কয়েক ঘণ্টা। ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ দিয়ে রাতভর তল্লাশির পরেও দুই আসমির খোঁজ পাওয়া যায়নি। কোথায় পালিয়ে গেল দুজনে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তরা বিহার কিংবা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এদিকে, ওই সাজ্জাক আলমকে খুঁজতে ২ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তা খতিয়ে দেখে ওই দুই দুষ্কৃতীর গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে নেমেছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, গুলিবিদ্ধ দুই পুলিশকর্মী নীলকান্ত সরকার এবং দেবেন বৈশ্য গুরুতর জখম। তাঁরা বর্তমানে শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার আইজি রাজেশ যাদব এবং এডিজি জাভেদ শামিম তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এই ঘটনার স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.