স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভর্তি হতে পারেন, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ গত মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ই-কাউন্সেলিংয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়া৷ তবে প্রায় ১৭ হাজার আসন খালি রয়েছে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কলেজে সব আসন পূরণ হয়নি৷ সেই কারণে ‘ওপেন কাউন্সেলিং’-এ জোর দিয়েছেন মন্ত্রী৷
বুধবার নবান্নে এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মেধাবীরা যাতে ভর্তি থেকে বঞ্চিত না হয়, তা দেখা হবে৷ উল্লেখযোগ্য কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকলে উদ্বেগ থাকবেই৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ শিক্ষা দফতরে আবেদন করলে ওপেন কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভর্তি করানো যেতে পারে৷” এর ফলে মেধাবীরা যাঁরা সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তি হতে পারেননি, পরবর্তী সময়ে তাঁরা আবার সুযোগ পাবেন৷ প্রসঙ্গত, শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-কাউন্সেলিংয়ের পর প্রায় ২০০ আসন ফাঁকা রয়েছে৷ এর মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্সে ফাঁকা আসনের সংখ্যা অনেকটাই বেশি৷ মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও কিছু আসন খালি৷
যাদবপুরের একশ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের ফলে অনেকে ভর্তি হতে চাননি বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা৷ পাশাপাশি শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-তেও পঞ্চাশটির মতো আসন ফাঁকা বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর৷ গতবারের তুলনায় এবার বেসরকারি কলেজগুলিতে বছর প্রতি প্রায় ৭ শতাংশ টিউশন ফি বৃদ্ধিপেয়েছে৷ ফি বাড়ার কারণে বহু পড়ুয়া ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, রাজ্য এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষায় বসেছিলেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৯৬ জন৷ মেধাতালিকায় এসেছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৯৫৪ জন৷ যাঁরা ব়্যাঙ্ক কার্ড পেয়েছেন তাঁদের সকলকেই ই-কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ প্রথম দফা কাউন্সেলিংয়ের পর নাম প্রকাশিত ১৫ হাজার ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থীর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.