ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অনুব্রতর (Anubrata Mandal) গড়ে আরও শক্তিশালী তৃণমূল। বৃহস্পতিবার পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন ইলামবাজারের ১৫০ কর্মী। স্যানিটাইজ করে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তৃণমূলের দলীয় পতাকা।
বোলপুর (Bolpur) বিধানসভার অন্তর্গত ইলামবাজার ব্লকের দেবীপুর গ্রামে ১১৬, ১২০ বুথে বিজেপি জয় লাভ করেছিল ৪০০ ভোটে। কিন্তু বোলপুর বিধানসভায় জয়লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী চন্দ্রনাথ সিনহা। এরপরই বোলপুর বিধানসভার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান হিড়িক পড়ে। বৃহস্পতিবার ইলামবাজারের দেবীপুর গ্রামেও ১৫০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ও অন্যান্য নেত্রীর উপস্থিতিতে সমস্ত বিজেপি কর্মীকে স্যানিটাইজ করে তাঁদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দেওয়া হয়। যোগদানকারীদের হাতে ছিল পোস্টার। তাতে লেখা ছিল, “বিজেপি করে ভুল করেছি”, “তৃণমূলে যোগদান করতে চাই।” এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দুলাল রায়ের বক্তব্য, “বিজেপির কিছু করোনা ভাইরাস ছিল। তাঁদেরকে স্যানিটাইজার করে তৃণমূলে যোগদান করালাম। ভুল বুঝে তাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিল, যদিও দেবীপুর বুথে আমরা পরাজিত হয়ে ছিলাম। আগামী দিনে ভাল ফল হবে। বিজেপি থেকে আসা তৃণমূলে যোগদানকারী রাজু দাস বলেন, “আমরা ভুলবশত বিজেপিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু যেভাবে বিজেপি নোংরামি করেছে তাই তৃণমূলে যোগদান করলাম। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাতে গণতন্ত্র নেই। তৃণমূল সব থেকে বড় ভাইরাস। ওরা মানুষকে হেয় করে থাকে, তার জন্য এই কাজ করেছে।” উল্লেখ্য, শুধু বীরভূম নয়, ভোটের ফল প্রকাশের পর জেলায় জেলায় বিজেপি শিবিরে ভাঙন ধরছে। বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.