ছবি: প্রতীকী।
কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: অভিযোগ-পালটা অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠনই সার। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে এখনও রোখা যাচ্ছে না শিশুমৃত্যু। এক রাতে ফের দুটি শিশুর মৃত্যু। তার ফলে গত তিন দিনে এখনও পর্যন্ত মোট ১৫টি শিশুর প্রাণ গিয়েছে বলেই খবর।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল সূত্রে খবর, ওই শিশু দুটি ঝাড়খণ্ডের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই হাসপাতালে শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় দুজনের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সঠিক সময়মতো শিশু দুটিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে আনা গেলে হয়তো তারা প্রাণে বেঁচে যেত। এর আগে বুধবার বেলা ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে খবর। তার পর শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এসএনসিইউ ওয়ার্ডে ৫৪টি শিশু রাখার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। তা সত্ত্বেও একশোর বেশি শিশু ভর্তি। যা একটি কারণ। এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভোলানাথ আইচ জানান, খুবই কম ওজনের বাচ্চা, নিউমোনিয়া-সহ শেষ মুহূর্তে কিছু বাচ্চাকে রেফার করা হয়েছিল। তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই ৯টি শিশুর মধ্যে ৭জনের বয়স ১ থেকে ৪ দিন। বাকি দুজনের বয়স ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে। ওই শিশুদের মধ্যে ৪ জনের জন্মগত সমস্যা ছিল। দুটি শিশুর ওজন ছিল ৪০০-৬০০ গ্রাম। একজনের ব্রেন শুকিয়ে গিয়েছিল। একটি শিশুর হার্ট ফুটো ছিল। একটি বাচ্চা ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল। এছাড়া নিউমোনিয়াও ছিল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বেশিরভাগ শিশুই খুব খারাপ অবস্থায় রেফার হয়ে আসার কারণে এই অঘটন। উল্লেখ্য, হাসপাতাল থেকে রোগী প্রত্যাখ্যানের জন্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বহুবার। ‘রেফার রোগ’ রুখতে বার বার কড়া বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগী প্রত্যাখ্যান যে কোনওভাবেই রোখা যাচ্ছে না, এই ঘটনায় তা স্পষ্ট বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.