সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন পরবর্তী সময়ে দ্বিগুণ কেন, কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে করোনার প্রকোপ। লাফিয়ে বাড়তে পারে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। অনেকদিন আগেই এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে আনলক পর্বে। বাগে আনা যাচ্ছে না এই মারণ ভাইরাসকে (Coronavirus)। প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণের রেকর্ড গড়ছে বাংলা।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩৫ জন। এর মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে ৪১৮ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। যদিও রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা গতকালের তুলনায় সামান্য কম। তবে একেবারেই সন্তোষজনক নয়। রাজ্যে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ৩১ হাজার ৪৪৮-য়। লাফিয়ে বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাটা ১১ হাজার ২৭৯। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। একদিনে করোনার বলি ২৪ জন। তিলোত্তমাতেই শুধু প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট মৃত ৯৫৬ জন।
করোনা প্রকোপ ঠেকাতে রাজ্যে নতুন করে কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য। গত ৯ জুলাই থেকে কনটেনমেন্ট জোনে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হয়। নিয়ম ভাঙলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়ে রেখেছে প্রশাসন। কিন্তু তাতেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রেণ আনা যাচ্ছে না।
চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে সুস্থতার নিম্নমুখী হারও। একটা সময় যেখানে সুস্থতার হার প্রায় ৬৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল, সেখানে এখন রাজ্যে সেই হার ৬১.০৯ শতাংশ। বর্তমানে করোনাজয়ীর থেকে আক্রান্তর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এদিনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩২ জন। যার মধ্যে কলকাতায় সুস্থ ১৮১ জন। এখনও পর্যন্ত বাংলার মোট করোনাযোদ্ধা ১৯ হাজার ২১৩ জন। তবে দ্রুত করোনা রোগী চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়াও চলছে সমান তালে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৩৫৯টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৩৮টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।