ছবি: প্রতীকী
সুব্রত বিশ্বাস: হালকা শীতের সকালে ছোট্ট মেয়েকে রোদ্দুরে বের করে দিয়েছিলেন মা-বাবা। আর খুদেও খেলতে খেলতে চলে এসেছিল রেললাইনে। আর সেখানেই ধেয়ে এল সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত! ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল একরত্তির। শিয়ালদহ দক্ষিণ (Sealdah South) শাখায় লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে এই দুর্ঘটনার (Rail Accident) পর শোরগোল শুরু হয়েছে। রেলট্র্যাকের ধারের বসতিগুলি নিয়ে রেলের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও কেউ সাবধান হননি, আজকের ঘটনাই তার প্রমাণ।
ঘড়িতে সময় তখন সকাল ৮টা ৫৫। শিয়ালদহ থেকে ডাউন লক্ষ্মীকান্তপুরগামী (Lakshmikantapur) লোকাল দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। বারুইপুর ও মল্লিকপুরের মাঝেই ঘটল দুর্ঘটনা। মাত্র ১৪ মাসের এক শিশুকে পিষে দিয়ে গেল ট্রেনটি। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য আরপিএফ (RPF) তৎপর হয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃত শিশুর নাম অঞ্জনা হালদার। কোনও বিক্ষোভ কিংবা ট্রেন অবরোধের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গিয়েছে, সবে বছর পেরনো মেয়েটি মা-বাবার সঙ্গে বারুইপুর-মল্লিকপুরের মাঝে পূর্ব শালীপুরে রেললাইনের পাশের ঝুপড়িতে থাকত। সকালবেলা ঘুম থেকে তুলে তাকে ঘরের বাইরে রেখেছিল মা-বাবা। তারপর মা বেরিয়ে যান কাজে। বাবা ঘরেই ছিলেন। কিন্তু মেয়ের গতিবিধি সম্পর্কে তেমন খোঁজখবর রাখেননি। ছোট্ট অঞ্জনাও টলমল পায়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে গিয়েছিল রেললাইনে। আর তাতেই মা-বাবার কোল শূন্য করে চলে গেল সে।
এমনিতে রেললাইনের ধারের বসতিগুলির বাসিন্দাদের গতিবিধি নিয়ে বারবার সতর্ক করেছে রেল। একটা সময় পর্যন্ত এই ঝুপড়ির পাশের ট্র্যাক দিয়ে যাতায়াতের সময় ট্রেনের গতি কিছুটা শ্লথ করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি সেই গতি বেড়েছে। সুরক্ষার স্বার্থে কয়েকটি বসতির ধারে লোহার বেড়াও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পূর্ব শালীপুরের বসতিটি তেমন সুরক্ষিত নয়। তাই আজকের দুর্ঘটনা ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.