সুব্রত বিশ্বাস: অবশেষে স্বস্তি। আজমের থেকে ১২০০ পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে প্রথম ট্রেন এল রাজ্যে। ডানকুনি স্টেশনে শ্রমিকদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, হুগলির একাধিক বিধায়ক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিলেন হুগলির পুলিশ কমিশনার, আইজি ও ডিআইজি রেল, এসআরপি, রাজ্যের একাধিক কর্তা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাজির ছিলেন জেলার সিএমওএইচ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁরা ফিট সার্টিফিকেট দেন। যা নিয়ে শ্রমিকরা গ্রামে ঢুকতে পারবেন।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ আজমের থেকে প্রায় ১২০০ পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে ট্রেনটি ডানকুনি আসে। ২৪ কামরার একেবারে শেষের দিকের কামরা থেকে এক এক করে শ্রমিকদের নামানো হয়। স্ক্রিনিং টেস্ট ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর শ্রমিকদের ছোট গাড়িতে করে রেলের লোকোশেডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নির্ধারিত অঞ্চলগুলোতে যাওয়ার জন্য বাস রাখা হয়। যে বাসগুলিতে করে গ্রামের দিকে রওনা দেন রাজস্থান থেকে ফিরে আসা শ্রমিকরা।
লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন ধরে ভিনরাজ্যে আটকে ছিলেন শ্রমিকরা। এমন সংকটের দিনে পরিবারের থেকে দূরে থাকায় দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে দিন কেটেছে। অবশেষে বাড়ি ফিরতে পারায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান তাঁরা। এদিন প্রায় ৪০০ পুলিশ ও দেড়শো আরপিএফ ডানকুনিতে হাজির ছিল। ডানকুনিতে শ্রমিকরা যাতে না ঢুকতে পারেন, তার জন্য সোমবার রাতে স্থানীয় মানুষজন বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি ছিল, করোনার আবহে বাইরে থেকে আসা কাউকে এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে না। ট্রেন আসার পর যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য প্রশাসন বিশেষ ব্যবস্থার সঙ্গে বাড়তি ফোর্সও রেখেছিল। ফলে নির্বিঘ্নেই ফিরলেন শ্রমিকরা।
গত শুক্রবার তেলেঙ্গানার লিংগমপল্লি থেকে ঝাড়খণ্ডের হাতিয়ায় প্রথম ১২০০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে ট্রেন আসে। ডানকুনি এল দ্বিতীয় ট্রেনটি। এরপর নাসিক থেকে লখনউ, আলুভা থেকে ভুবনেশ্বর, নাসিক থেকে ভোপাল, জয়পুর থেকে পাটনা ও কছ থেকে হাতিয়া আসবে পাঁচটি ট্রেন। গ্রামে ফিরবেন শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়া পড়ুয়াদের বাংলায় ফেরানোর ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০১টি বাসে তিনদিনে রাজ্যে ফেরেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.