দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ইরানে সোনার কাজ করতে গিয়ে আটক এরাজ্যের ১২ জন কর্মী৷ এদের মধ্যে চার জন যুবক রয়েছে৷ কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁদের ইরানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেঠে এজেন্টদের বিরুদ্ধে।
[শতায়ু বৃদ্ধাকে ধর্ষণ! গ্রেপ্তার একুশ বছরের যুবক]
ইরানে আটকদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত মাস আগে পাণ্ডুয়ার এক এজেন্ট তাঁদের ইরানে নিয়ে যায়৷ ৫০ হাজার টাকা মাইনের টোপ দেয়৷ সোনার কাজ দেবে বলে পাণ্ডুয়ার চার যুবক-সহ মোট ১২ জনকে ইরানে নিয়ে যায় ওই এজেন্ট। সেখানে তারা তিন মাস ২৭ হাজার টাকা মাইনে দেয়। অভিযোগ, এরপর শেষ চার মাস ধরে তারা কোনও বেতন দিচ্ছে না। পাশাপাশি তাদের ইরানে একটি জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাণ্ডুয়ার ওই যুবকদের নাম রহিম আলি (২৭), বাড়ি পাণ্ডুরার জায়ের গ্রামে। গিয়াসুদ্দিন মালিক (৩০), বাড়ি কোটাল পুকুর। সাইফুল হাসান (২৯), বাড়ি পাণ্ডুয়ায়। সাইদুল ইসলাম (২৭), বাড়ি গুরজলা এলাকায়।
রহিম আলির বাবা আজগর আলি সাংবাদিকদের বলেন, “ সাত মাস আগে পাণ্ডুয়া থেকে আমার ছেলে-সহ মোট ১২ জন ইরানে সোনার কাজে গিয়েছে। তিন দিন আগে আমার ছেলে মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছে। সেখানে ওদের তিন মাস বেতন দেওয়ার পর চার মাস ধরে টাকা দেওয়া দূরের কথা, ওদের আটকে রাখা হয়েছে।” পাশাপাশি ওদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ওদের পাসপোর্টও নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আজগর আলি আরও বলেন, “আমার আবেদন আমার ছেলে যেন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসতে পারে, সরকার তার ব্যবস্থা করুক।”
[‘ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, মনে হচ্ছিল আর বাঁচব না’]
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই রকম কোনও ঘটনার খবর আমাদের কাছে নেই। অভিযোগ হলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ রত্না দে নাগ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা আকছার ঘটছে। এতেও মানুষের সচেতনতা বাড়ছে না। পরিবারটির উচিত পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে আনা। এরপর আমরা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করতে পারব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.