ছবি: প্রতীকী
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: এবার স্রেফ আতঙ্কে কোয়ারেন্টাইন থেকে চম্পট দিলেন ১২ জন। নজরে পড়তেই তাঁদের খোঁজ শুরু করে হাসপাতাল। খবর দেওয়া হয় শ্রীরামপুর থানায়। গভীর রাতে উদ্ধার করা হয় তাঁদের। একে একে ১২ জন বেরলেন, কিন্তু কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তা নজরে পড়ল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেনই বা সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা সত্ত্বেও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, তাও ভাবাচ্ছে সকলকে।
কিছুদিন আগেই শেওড়াফুলির এক ব্যক্তির শরীরে মিলেছিল করোনার জীবাণু। এরপর তাঁর চিকিতসা শুরুর পাশপাশি কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল তাঁর পরিবারের সদস্য-সহ মোট ১৪ জনকে। কারণ প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। শ্রীরামপুর হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকাকালীন কয়েজনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। সূত্রের খবর, গতকাল রিপোর্ট এলে জানা যায় তাঁদের মধ্যে ২ জন করোনা আক্রান্ত। এরপরই বিপত্তি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রিপোর্ট দেখে আতঙ্ক বাড়তে থাকে বাকিদের মধ্য। একে একে হাসপাতাল থেকে চম্পট দেন ১২ জন। নজরে পড়তেই শুরু হয় খোঁজ। সন্ধেয় হদিশ মেলে ৬ জনের। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরও বাকিদের হদিশ না মেলায় শ্রীরামপুর থানার দ্বারস্থ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় গভীর রাতে উদ্ধার হয় বাকি ৬ জন। জানা গিয়েছে, কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কীভাবে হাসপাতালের নিরাপত্তা বেষ্ঠনি টপকে বের হলেন তাঁরা? তবে কী গলদ ছিল হাসপাতালেরই? আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার পর সচেতন হওয়ার পরিবর্তে কেনই বা চম্পট দিলেন ওই ১২ জন? এসব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.