সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি ব্যবসায়িক শক্রতা? ঠিক কী কারণে ব্যান্ডেলে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম? ধন্দে পুলিশ। ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতাকে খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ চলছে ব্যান্ডেলে। বন্ধ দোকানপাট, জনশূন্য রাস্তাঘাট।
নিহত তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তিনি নিজেও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তৃণমূল নেতা দিলীপ রাম। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়। মাথার পিছনে গুলি লাগে। গুলির শব্দে আশেপাশের লোকজন যখন ছুটে আসেন, তখন পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে শ্রীরামপুরের কাছে মারা যান দিলীপ রাম। ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় দলের সংগঠন মজবুত করার পিছনে দিলীপ রামের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই টার্গেট করেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর বিজেপির পালটা দাবি, কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল বাড়ছে। গোষ্ঠীকোন্দলের কারণে খুন হয়েছেন দলের নেতা দিলীপ রাম। এদিকে দিলীপ রামকে ঠিক কী কারণে খুন করা হল, তা নিয়ে অবশ্য ধন্দে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ওই তৃণমূল নেতাকে খুন করা হয়েছে। নিহতের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল আততায়ীরা। এমনকী, ঘটনাস্থলে রেইকিও করে গিয়েছিল তারা।
এদিকে দলের নেতা দিলীপ রামকে খুনের প্রতিবাদে রবিবার ব্যান্ডেলে ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বনধের ভালই প্রভাব পড়েছে এলাকায়। ছুটির দিনে সকালে রাস্তাঘাটে তেমন লোক নেই। বন্ধ দোকানপাট, এমনকী বাজারও। চলছে না যানবাহনও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.