সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু’বার ভূমিকম্প! লাফিয়ে লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ইন্দোনেশিয়ায়। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৮২ জন। দ্বীপরাষ্ট্রে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্বেগের ছায়া শিলিগুড়িতেও। চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে জৈন পরিবারের। বালির কাছে একটি ছোট্ট দ্বীপে আটকে পড়েছেন পরিবারের ৭ জন সদস্য। বন্ধুদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সবমিলিয়ে দলে সদস্য সংখ্যা ১২। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের দ্বারস্ত হয়েছেন পরিবারের লোকেরা। আটকে পড়া পর্যটকদের বালিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
[রাতভর মুষলধারায় বৃষ্টি বাঁকুড়ায়, ভেঙে পড়ল আস্ত একটি বাড়ি]
শিলিগুড়ি শহরের খালপাড়া এলাকায় বাস জৈন পরিবারের। নিজস্ব বাড়ি, গাড়ি। আর্থিক স্বাচ্ছল্যতার কোনও অভাব নেই। দিন কয়েক আগে ইন্দোনেশিয়ায় বেড়াতে যান জৈন পরিবারের সাতজন সদস্য। তাঁদের সঙ্গে গিয়েছেন ৫ জন বন্ধুও। পরিবারের যাঁরা শিলিগুড়িতে আছেন, তাঁরা জানিয়েছেন, গত ৩ আগস্ট বালির কাছে গিলি নামে একটি ছোট্ট দ্বীপে পৌঁছায় ১২ জনের দলটি। রবিবার যখন তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া, তখন গিলি দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিলেন তাঁরা। ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দ্বীপটি। পাহাড়ে ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তা। গিলি দ্বীপ এতটাই প্রত্যন্ত, যে সময়মতো সেখানে পৌঁছতে পারেননি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। সোমবার নিজেরাই কোনওমতে হোটেলে ফেরেন শিলিগুড়ির ওই ১২ জন বাসিন্দা। কিন্তু, এখনও হোটেলবন্দি তাঁরা। এদিকে ভূমিকম্প কবলিত ইন্দোনেশিয়ায় আবার মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে অল্প কিছুক্ষণের জন্য মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাওয়া গিয়েছিল। তখনই ফোনে শিলিগুড়িতে বাড়ির লোকেদের দুর্দশার কথা জানান ওই ১২ জন পর্যটক। উদ্বিগ্ন জৈন পরিবারের অন্য সদস্যরা। টুইট করে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তাঁরা। শেষ খবর অনুযায়ী, শিলিগুড়ির ওই ১২ জন পর্যটককে গিলি দ্বীপ থেকে উদ্ধার করে বালিতে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
[ অসমে অবরোধ রাজবংশী স্টুডেন্ট ইউনিয়নের, উত্তরবঙ্গে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.