সুব্রত বিশ্বাস এবং অর্ণব দাস: ফের ট্রেনে চাপিয়ে বন্যপ্রাণ পাচারের ছক। রবিবার ভোরে নৈহাটি স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চাপিয়ে শতাধিক কচ্ছপ পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের তৎপরতায় উদ্ধার হয় শতাধিক কচ্ছপ। ধরা পড়ে ভিনরাজ্যের দুই পাচারকারীও।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে ফেরিঘাট পেরিয়ে নৈহাটি স্টেশনে আনা হয় কচ্ছপগুলিকে। তার পর সেগুলি শিয়ালদহগামী লোকাল ট্রেনে তোলে দুই পাচারকারী। তাদের ওই বস্তাগুলি থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। যা নিয়ে ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বচসার মধ্যেই জানা যায়, বস্তাগুলির মধ্যে কচ্ছপ রয়েছে। পরে তা জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আটক হয় ভিনরাজ্যের দুই পাচারকারীও।
জিআরপি সূত্রে খবর, বস্তায় ১০৩টি কচ্ছপ ছিল। যার মধ্যে তিনটি মৃত। তিনটি বড় আকারের কচ্ছপও ছিল। বাকিগুলি মাঝারি আকারের। স্থানীয় বাজারে কচ্ছপগুলির দাম ৩০০-৪০০ টাকা। বাংলাদেশের বাজারে এধরনের কচ্ছপের দাম কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত। সূত্র মারফত জানা যায়, ধৃত মহিলা পাচারকারীর নাম রিয়া পাথরকর। সে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের বাসিন্দা। ধৃত আরেক পাচারকারী কাঞ্চনপাথর কর। তারও বাড়ি উত্তরপ্রদেশে পাকরো গ্রামে।
সাধারণত, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এধরনেক কচ্ছপ বাংলায় আসে। এখান থেকে বাংলাদেশ-সহ একাধিক এলাকায় পাচার হয় ওই কচ্ছপ। কিন্তু জিআরপির লাগাতার অভিযানে পাচারের সংখ্যা অনেক কমেছে। এখন দুন এক্সপ্রেসে চাপিয়ে কচ্ছপ এনে বর্ধমানে নামানো হয়। সেখান থেকে অন্যান্য এলাকায় কচ্ছপগুলিকে পাচার করা হয়। এদিন সেই ছকে পাচারের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু তা বানচাল হয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.