Advertisement
Advertisement
COVID Vaccination

ভ্যাকসিনের কথা বলবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, রাজ্য পূর্ণ হল ১ লক্ষের টিকা কোটা

১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে ষাটোর্দ্ধদের টিকাকরণ শুরু হবে।

1 lac COVID vaccination completed in West Bengal | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 24, 2021 8:57 pm
  • Updated:February 24, 2021 8:57 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: টিকা নেওয়ার পরের অভিজ্ঞতা বাড়ি-বাড়ি প্রচার করবেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। আস্থা ফেরাতে এমনই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যদপ্তরের। করোনার প্রথম ডোজ নেওয়ার শেষদিন বৃহস্পতিবার। এরপর টিকা নিতে হলে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের।

আবার ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে ষাটোর্দ্ধদের টিকাকরণ শুরু হবে। টিকা পাবেন ৪৫ বছরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপসর্গের নাগরিকরা। তবে গণটিকাকরণ শুরুর আগেই আমজনতার সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর তৈরি রাখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে সব রাজ্যকে আবেদন জানানো হয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসাবে একগুচ্ছ প্রশ্নমালা তৈরি করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে যেমন এইসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। আবার ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা প্রচারে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই যুক্ত করতে চলেছে প্রশাসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন : টানা দু’দিন বাড়ল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, চব্বিশ ঘণ্টায় কোভিডের বলি ৩]

রাজ্যে ভ্যাকসিনের নোডাল অফিসার ডা. অসীম দাস মালাকার জানিয়েছেন, “ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তাঁরা যে সুস্থ রয়েছেন তার বড় অভিজ্ঞতা স্বাস্থ্যকর্মীরাই। পঞ্চায়েত বা পুরসভার ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই যুক্ত করা হবে।” স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “ভ্যাকসিন সংক্রান্ত আমজনতার সব প্রশ্নের উত্তর তাঁরাই দেবেন।” পাশাপাশি একগুচ্ছ প্রশ্নও উত্তরমালা তৈরি করা হয়েছে। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে যেমন উত্তর থাকবে, তেমনই অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে অডিও ভিসুয়াল প্রচার হবে।

উল্লেখ্য, এদিনই পুণে থেকে কলকাতায় এসেছে প্রায় ৭৩ হাজার ৮০০ ভায়াল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন কলকাতার বাগবাজার সেন্টারে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে তা পাঠানো হবে। মূলত, ভোটকর্মী ও প্রবীণ নাগরিকদের টিকা দেওয়ার জন্যই ভ্যাকসিন আনা হল বলে এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান।

[আরও পড়ুন : সংক্রমণ ঠেকাতে ৪ রাজ্য থেকে বাংলায় আসা যাত্রীদের RT-PCR রিপোর্ট বাধ্যতামূলক]

রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ আগের থেকে বাড়ায় কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “এমআর বাঙ্গুর, বেলেঘাটা আইডির মতো কোভিড হাসপাতাল থেকে এখনই করোনা শয্যা কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। আবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও করোনা ওয়ার্ডে শয্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে হাসপাতালকে করোনা মোকাবিলায় তৈরি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” স্বাস্থ্য অধিকর্তার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা বাড়ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement