জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিএসএফের (BSF) বিরুদ্ধে তল্লাশির নামে দুর্ব্যবহার-সহ একাধিক অভিযোগ এনে কর্মবিরতি শুরু করলেন পেট্রাপোল (Petrapole) ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও পরিবহণ সমিতির সদস্যরা। সোমবার সকাল ছ’টা থেকে কর্মবিরতির জেরে থমকে যায় পেট্রাপোল সীমান্ত বাণিজ্য।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দৈনিক কয়েক শো ট্রাক পণ্য নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে৷ ট্রাকগুলি আমদানি ও রপ্তানির জন্য চালান তৈরি-সহ একাধিক কাজ করে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও তার কর্মীরা। সে কারণে ওই কর্মীদের নিয়মিত বন্দরে যাতায়াত করতে হয়।
সম্প্রতি পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বিভিন্ন দ্রব্য পাচারের সময় বিএসএফের হাতে আটক হয়ে ছিল ট্রাক চালক-সহ কয়েকজন। তারপর থেকেই বন্দরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শুরু করেছে বিএসএফ। অভিযোগ, ক্লিয়ারিং ফরওয়ার্ডিং কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও ট্রাক চালকদের বারবার তল্লাশি চালানো হচ্ছে। হেনস্তা করা হচ্ছে। ডিটেনশনে থাকা গাড়ির টাকা নিয়ে যেতে বাধার সৃষ্টি করছেন জওয়ানেরা। ট্রাকগুলি আটকে রেখে দীর্ঘ সময় তল্লাশি চালানোর ফলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ জানিও কোনও ফল মিলছে না। বাধ্য হয়েই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন “আমরাও চাই ট্রাকে বিএসএফ তল্লাশি চালাক। কিন্তু তল্লাশির নামে ট্রাকচালক, খালাসি, আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করা হোক। তারই প্রতিবাদে আমরা আজ কর্মবিরতি পালন করছি।” পেট্রাপোল সেন্ট্রাল ওয়ারহাউজ কর্পোরেশনের ম্যানেজার সুপ্রভাত বলেন “ক্লিয়ারিং এজেন্টের সঙ্গে বিএসএফের কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।”
প্রায় সাত-আট ঘণ্টা কর্মবিরতি চলার পর এদিন দুপুরে বিএসএফের পক্ষ থেকে ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংগঠন কে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়েছে ট্রাক তল্লাশির ক্ষেত্রে আরো বেশি জওয়ান মোতায়েন করা হবে। ফলে সময় কম লাগবে। অন্য সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এর পরেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.