টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ভুয়ো ভোটার ধরতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের অস্তিত্ব মিলেছে। একই এপিক নম্বরে বিহার, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের ভোটারের খোঁজও মিলেছে। এবার বাঁকুড়া শহরের দুই গৃহবধূর ভোটার আইডি কার্ড নম্বর একই হওয়ার ঘটনা সামনে এল। দীর্ঘদিন ধরে দু’জনের একই কার্ডের নম্বর রয়েছে। সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি বাঁকুড়া শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের ভোটার তালিকায় ‘ভূতুড়ে’ ভোটারদের নাম ঢোকানো হচ্ছে। প্রত্যেক ভোটারের সচিত্র পরিচয়পত্রে যাতে অভিন্ন নম্বর থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে। তারপরেই ভোটার তালিকা ধরে ধরে ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার বাঁকুড়া শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেঠারডাঙ এলাকায় দুই গৃহবধূর অভিন্ন ভোটার পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। তাতেই টনক নড়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন আধিকারিকদের।
জানা গিয়েছে, নাজিমা বিবি খান ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নাজিমার স্বামী ইসমাইল খান। অপরজন নাজিমা বিবি খান। এই নাজিমা বিবিরও স্বামীর নাম ইসমাইল খান। নির্বাচন দপ্তর বলছে, নাম ও স্বামীর নাম এক হয়ে যাওয়াতেই এই বিভ্রান্তি হয়েছে। এই দু’জন মহিলা এক মহল্লার বাসিন্দা। এই দুজনের ভোটার পরিচয়পত্র নম্বর এনএফএন ০৬৭০৫৭০। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে দুই মহিলার ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর এক হওয়ায় এই দুজনের মধ্যে একজন ভোট দিতে পারতেন না। অভিযোগ সংশোধনের জন্য একাধিকবার আবেদন করেও তাঁদের সংশোধন সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র পাননি।
দুই নাজিমা বিবি বলছেন, নাম ও স্বামীর নাম এক হওয়ায় সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর এক হতে পারে! স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বলছেন ভোটার তালিকায় ভুলভ্রান্তি সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের ভুরি ভুরি ভুল রয়েছে। কেন এই ভুলভ্রান্তি বুঝতে পারছি না। তাঁর কথায় এখানে দুজনের দুটি পৃথক ছবি এবং জন্ম তারিখ দেওয়ায় আছে। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র তৈরি সময় আরও যত্নশীল হতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।” তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “দলনেত্রীর নির্দেশের পরেই আমরা বুথে বুথে কমিটি তৈরি করে ভোটার তালিকায় নজর রাখছি। কোনও ভাবে ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে দেব না বিজেপিকে। ভোটার তালিকায় সংযোজন ও বিয়োজনের তালিকা খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” যদিও দুই গৃহবধূর সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্রের নম্বর এক হওয়ার প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.