ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: করোনা আবহেও রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ। বিনিয়োগও হচ্ছে বড় মাপের। বুধবার নবান্ন সভাগৃহে বৈঠকে পর এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে জোড়া সুখবর দেন তিনি। এক, তাজপুরে নতুন বন্দর তৈরি করছে রাজ্য। যার ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে। দুই, একইসঙ্গে জানান দিঘায় তৈরি হচ্ছে কেব্ল ল্যান্ডিং স্টেশন হচ্ছে। আর তাতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করছে জিও।
মহামারী আবহে রাজ্যে অর্থনৈতিক কাজকর্ম অনেকটাই থমকে রয়েছে। এমন আবহে জোড়ে সুখবপে উচ্ছ্বসিত বঙ্গবাসীও। এ প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকদিন ধরে আমরা তাজপুরে নতুন বন্দর তৈরি গড়ার চেষ্টা করছি। তাজপুরে যে বন্দরটি হবে সেটা রাজ্য সরকারই তৈরি করবে। একার দ্বারা সম্ভব নয়, তাই টেন্ডারও ডাকা হবে।” বন্দর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “তাজপুরে বন্দর তৈরি্র জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা কোনও আগ্রহ দেখায়নি। গঙ্গাসাগরে লোহার সেতু করে দেওয়ার কথা বললে তাও করেনি।” বন্দরটি তৈরি হলে যে তা রাজ্যের উন্নয়নের মুকুটে একটা বড় পালক যোগ হবে তা উল্লেখ করতেও ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বন্দর তৈরি হলে কর্মসংস্থানও যে হবে সেটাও উল্লেখ করেন তিনি। আমদানি–রপ্তানির ব্যবসা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও হবে।
এর পরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “দিঘায় তৈরি হচ্ছে কেব্ল ল্যান্ডিং স্টেশন। এতে জিও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করেছে। এখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ হবে। মোবাইলের যন্ত্রাংশও তৈরি করা হবে। এ ক্ষেত্রেও বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই মহামারীর আবহে এহেন লগ্নির খবর যে বাংলার শিল্পকে কিছুটা হলেও চাঙ্গা করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.