সুকুমার সরকার, ঢাকা: নির্বাচনের আগে দফায় দফায় বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে অত্যন্ত সুকৌশলে তাঁর বিরুদ্ধে উঠা নানা অভিযোগ কার্যত ভোঁতা করে দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে সমস্ত অভিযোগ নিয়ে ভোটের ময়দানে গিয়ে বিরোধীরা আসর গরম করতেন তা মুখোমুখি আলোচনায় ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
[পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ব্যাংক আধিকারিক]
রবিবার কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ঐক্য ফ্রন্টের সঙ্গে নিজের সরকারি বাসভবন গনভবনে আলোচনা করেন তিনি। এই টিমে ছিলেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সচিব মির্জা ফখরুল। সম্প্রতি ফের এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরির নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেও বৈঠক করেন হাসিনা। ঐক্য ফ্রন্টের বৈঠকে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মোহিত। কিন্তু বৈঠকের পরদিন কলকাতায় চলে আসেন তিনি। বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধন করেন মোহিত। সেখানে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের পক্ষে সওয়াল করার পাশাপাশি বিএনপি তথা বিরোধীদের তুলোধোনা করেন ওপারের অর্থমন্ত্রী। কিন্তু দেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়েও ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী মেজাজে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। বলেন, “ভোটে না লড়লে বিএনপি দলটার অস্তিত্ব পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই নির্বাচন জেতার অতি সামান্যতম সম্ভাবনা থাকলেও ওঁরা (বিএনপি) যতই টালবাহানা করুক না কেন, ভোটে দাঁড়াতেই হবে। ভোটে না লড়লে দলটা উঠে যাবে।”
ঢাকায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে বসে তিনি ঐক্য ফ্রন্টের নেতাদের কথা শুনেছেন। কলকাতায় এসে বিরোধীদের নেতা কামাল হোসেনের তুলোধনা করে মুহিত বলেন,“উনি শিক্ষিত মানুষ। অল্প বয়সেই তাঁর মেধা দেখে বঙ্গবন্ধু তাঁকে রিক্রুট করেছিলেন। কিন্তু এখন দেখছি, তাঁর যে কোন বিষয়ের প্রতি কমিটমেন্ট অত্যন্ত কম।” গণভবনে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনার সূচনা বক্তব্যে হাসিনা বলেন, “গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক। উন্নয়নের ধারা সচল থাকুক। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত-বাধা অতিক্রম করে আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছি।”
[‘কওমি জননী’ উপাধিতে ভূষিত শেখ হাসিনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.