সুকুমার সরকার, ঢাকা: নতুন বছরেও ফের ফের ককটেল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের ছাত্র সংসদের কার্যালয় ডাকসু ভবনের সামনে এবং অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ধারাবাহিকভাবে ঘটল ককটেল বিস্ফোরণ। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই এখনও। ফলে ছুটির দিনেও চরম আতঙ্ক ছড়াল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার বেলা ১১ টা ১০ এবং ১১ টা ৩০, এই কুড়ি মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে, বিএনপি নেত্রী কারারুদ্ধ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মিলিত হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বক্তব্য রাখার সময় ককটেল বিস্ফোরণটি ঘটে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল-সহ অন্যান্য সদস্যরা এই ঘটনায় যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছেন। বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণে কারা জড়িত, তা বের করার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান। সদ্য গত বছরের ২৬, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বরও ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ৩০ ডিসেম্বর মধুর ক্যান্টিনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় কর্মচারী হৃদয় আহত হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক অধ্যাপকের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্ধার হয় একটি তাজা ককটেল বোমা।
এসব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। ছাত্রলিগ ও ছাত্রদলের নেতারা পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন। যদিও এই ধারাবাহিক ককটেল বিস্ফোরণের নেপথ্যে মৌলবাদীদের হাত আছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান তদন্তকারীদের। কিন্তু কেন বারবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মধুর ক্যান্টিনের সামনে বিস্ফোরণ ঘটছে, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে, যার উত্তর এখনও মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.